আমাদের সতর্ক থাকতে হবে
প্রফেসর ডা. এস কে এ রাজ্জাক
কোরবানির ঈদ খুব সন্নিকটে। ঈদে মানুষ অনেক গোশত খেয়ে থাকে। গরুর গোশত খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকবে হবে। কারণ অতিরিক্ত গোশত খাওয়ার ফলে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আজকাল এমন অনেক ধরনের ভাইরাসের নাম শুনি, যা গরুর গোশত থেকে আসে। আমাদের দেশে যে প্রক্রিয়ায় গোশত রান্না করা হয়, তাতে কোনো জীবানু বা ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা থাকে না।
কোরবানির ঈদ, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই। সেখানে তো কেউ অসুস্থ গরু কোরবানি দেওয়ার কথা নয়। সবাই সুস্থ ও সবল গরু কিনে কোরবানি দিবে এমনটিই তো স্বাভাবিক। আমরা যারা কোরবানি দিব, তাদের উচিতÑ সুস্থ, সবল গরু কেনা। তার আগে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে, যাতে কোনো অসুস্থ গরু কোরবানি না হয়।
আমাদের দেহে আমিষের প্রয়োজন আছে। সেক্ষেত্রে একজন মানুষের দেহে দৈনিক কত পরিমাণ আমিষের প্রয়োজন শরীরের ওজন অনুপাতে। যদি কারও শরীরের ওজন ১০০ কেজি হয়, সেক্ষেত্রে তার গরুর গোশত ১০০ গ্রাম খাওয়া উচিত। এটাই নিয়ম।
অসুস্থ গরু দেখলেই চেনা যায় যে, কোনটা সুস্থ আর কোনটা অসুস্থ। একটা সুস্থ গরু যেভাবে চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, জাবর কাটার অবস্থা দেখলেই সহজে বোঝা যায় যে সেটা সুস্থ। আর অসুস্থ গরু হাটা-চলা করবে না, শুধু শুয়ে-বসে থাকবে। অনেক সময় অসুস্থ গরু মুখ থেকে লালা বের হয়, ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে কষ্ট হয়। এসব দেখেই বুঝে নিতে হবে সেটা অসুস্থ গরু। আর কোরবানি তো অসুস্থ গরু দিয়ে হয় না। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে অসুস্থ গরু চেনার ক্ষেত্রে।
পরিচিতি: ডিপার্টমেন্ট অব মাইক্রোবায়োলজি ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, টঙ্গী, গাজীপুর
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা: আশিক রহমান