অতিরিক্ত গোশত খাবেন না
প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম
গরুর গোশত আমরা কে না পছন্দ করি। সমাজের ছোট-বড়, সববয়সী মানুষ গরুর গোশত খেতে ভালোবাসে। তাই কোরবানির ঈদে সবাই একটু বেশি গরুর গোশত খেয়ে থাকি। সাধারণত আমরা যারা হার্টের অসুখ ও কিডনির অসুখে ভুগছি, তারা যেন গরুর গোশত না খেয়ে তা এড়িয়ে যান।
কিডনি রোগীদের নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে। বিশেষ করে যাদের এ রোগে উচ্চমাত্রার ঝঁকিতে রয়েছেন, তাদেরকে সবসময় নিয়ম মেনে চলতে হবে। কিন্তু যাদের হার্টের অসুখ, যারা ডায়াবেটিস রোগী, তারা এ রকম উৎসবে গোশত খেতে পারেন।
এ সময়ে তাপমাত্রা বেশি মনে হচ্ছে। বাসি গোশত না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে অনেকসময় একধরনের টকসিন হয়। এর ফলে খুব বেশি পরিমাণে ফুড পয়জোনিং হতে পারে। এর মাত্রা এত পরিমাণ হবে, যা মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ জন্য গরমে কেউ যদি গোশত রেখে খাই, তাহলে খুব ভালো করে ফুটিয়ে খেতে হবে। যদি কারও হজমের সমস্যা না থেকে থাকে, তবে সে তার তৃপ্তি মতো খেতে পারবেন, তাতে তার কোনো সমস্যা হবে না। তবে অতিরিক্ত খাওয়া মোটেও ঠিক হবে না। কারণ, আমাদের পেটেরও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা আছে। তাই, অতিরিক্ত গোশত খাবেন না।
যে গরুটা আয়েস করে ঠিকমতো খাচ্ছে বা জাবর কাটছে খুব আয়েস করে, সে গরু সত্যিকারার্থে সুস্থ। আর যে গরু ঠিকমতো খাচ্ছে না বা ঝিমায়, বেশি বেশি শুয়ে থাকেব, যাকে দাঁড় করালেও দাঁড়াতে চায় না, সেই গরুটি অসুস্থ্য।
পরিচিতি: সাবেক ডিন সার্জারি ফ্যাকাল্টি, বিএসএমএমইউ, ঢাকা
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা: আশিক রহমান