চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া
শাহানুজ্জামান টিটু : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চোখের চিকিৎসার জন্য হজ শেষে লন্ডন যেতে পারেন। এছাড়া হজ সম্পন্ন করে খালেদা জিয়া ২৯ সেপ্টম্বর পর্যন্ত সৌদি আরবে অবস্থান করবেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে থাকবেন খালেদা জিয়া। তবে অনুষ্ঠানটি কবে হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
চেয়ারপারসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই দিনক্ষণ ঠিক করবেন। ১৫ তারিখ পর্যন্ত হজের নানা নিয়ম পালন চলবে। এ কারণে ম্যাডামের কাছ থেকে সময় নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সূত্র জানায়, দেশে ফেরার আগেই সৌদি আরব থেকে খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে গত ঈদুল ফিতরে চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি যাননি। তবে এবার তিনি চোখের চিকিৎসা করাতে সেখানে যাবেন। এজন্য খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে বিলম্ব হতে পারে।
এদিকে গতকাল খালেদা জিয়া সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বাদ জোহর মিনায় যান। হজের মূল ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আরাফায় যাবেন।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডনে যাওয়ার বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপরও অনেকাংশে নির্ভরশীল। কারণ, সম্প্রতি সরকার নতুন করে বিএনপির ওপর চড়াও হয়েছে বলে মনে করেন দলটির নেতাকর্মীরা। তিনি যেদিন হজের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সেদিনই দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদকটি প্রত্যাহারের পাশাপাশি জাতীয় যাদুঘর থেকে সরিয়ে নেয় সরকার। দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সরকারের এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বক্তৃতা বিবৃতি অব্যাহত রেখেছেন। তারা এ ঘটনায় সরকারের ওপর প্রচ- ক্ষুব্ধ। নেতাকর্মীদের চাপের মুখে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পরদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে সারাদেশে একদিনের প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার পর সরকার জিয়ার নামে শিশু পার্কটি সরানোর ঘোষণা দেয়। এছাড়া শেরে বাংলানগরের চন্দ্রিমা উদ্যান, যেটা আগে জিয়া উদ্যান নামে পরিচিত ছিল, সেখান থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সরকার যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন সৌদি আরব থেকে সরাসরি দেশে ফিরে আসবেন। সম্পাদনা: মোরশেদ