সৈয়দ হকের চিকিৎসার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর
দীপক চৌধুরী: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্যানসার বাসা বেঁধেছে তার দেহে। ক্যানসার আক্রান্ত কবির চিকিৎসার সব দায়-দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি বেশকিছু সময় সৈয়দ শামসুল হকের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নেন এবং তার সঙ্গে কাটান। এসময় এ লেখক আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে জানান, তিনি বিকাল সোয়া ৪টায় ইউনাইটেড হাসপাতালে যান। প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে ছিলেন। ইহসানুল করিম বলেন, সৈয়দ হকের চিকিৎসার সব দায়-দায়িত্ব বহন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
কবির স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক, পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হকসহ পরিবারের সদস্যরা এ সময় হাসপাতালে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
সৈয়দ শামসুল হককে কেমোথেরাপি দেয়া হচ্ছে। ফুসফুসের জটিলায় আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্য যান সৈয়দ শামসুল হক। সেখানে তার ক্যানসার ধরা পড়ে। ৮০ বছর বয়স পেরোনো এ লেখক ক্যানসার থেকে সুস্থতার বিষয়ে সেখানকার চিকিৎসকদের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাননি। জীবনের বাকি দিনগুলো দেশে কাটানোর জন্যই গত ১ আগস্ট ফিরেছেন তিনি।
ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান শুভ শনিবার জানান, সৈয়দ হকের কেমোথেরাপি চলছে। স্বাভাবিক জ্ঞান আছে।
এ হাসপাতালটির অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক অসীম কুমার সেনগুপ্তের অধীনে চিকিৎসা চলছে এ লেখকের।
লন্ডনে অবস্থানকালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে এক স্মরণসভায় অংশ নেন এ লেখক। তার লেখা নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ ও ‘নুরুল দীনের সারাজীবন’ বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের ইতিহাস হয়ে আছে। একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া এ সাহিত্যিকের হাত দিয়ে ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘নীল দংশন’, ‘মৃগয়া’, ‘সীমানা ছাড়িয়ে’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ বহু পাঠকপ্রিয় বই এসেছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম