র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আত্মঘাতী নারী জঙ্গিরা বিয়ে করে গ্রুপ বাড়াচ্ছে
বিপ্লব বিশ্বাস: জঙ্গি বন্ধু মাহমুদের ডাকে গত ২০ আগস্ট বাড়ি থেকে পালিয়ে গাজীপুর যায় মার্জিয়া আক্তার সুমি। তার মতোই আরেক জঙ্গি আমিনুলের হাত ধরে ঘরত্যাগ করে নারী জঙ্গি নাহিদা সুলতানা। চারজনই নতুন ধারার বা নিউ জেএমবির সদস্য। ঘরত্যাগের পরই সুমি মাহমুদকে এবং নাহিদা আমিনুলকে বিয়ে করে। এ গোপন বিয়েতে উৎসবের আয়োজন করা হয় যাতে অংশ নেয় অন্তত ১৫ জঙ্গি।
র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে দুই দম্পতির কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। তারা আরও জানায়, জঙ্গিদের মধ্যে আরও কয়েকজনের গোপনে বিয়ে হওয়ার কথা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ চার জঙ্গির
ছাড়া জঙ্গি ফাহিম, ফরহাদ, পরাগ আহম্মেদ, আশরাফুল ইসলাম, আবু রেহান, মিজান, হৃদয়, আবু আলী, বকুল খান জহিরুল, সিপন, শফিক, রহমান ও কাদের বর্তমানে আত্মগোপনে থেকে সক্রিয়।
এ বিষয়ে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, চার জঙ্গির সূত্র ধরে আরও কয়েকজনকে গোয়েন্দা জালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী অভিযান চালানো হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিরা বিয়ে করে গ্রুপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
নারী জঙ্গি মার্জিয়া আক্তার সুমির বাবা মুনসুর আলী শেখ। ১৯৯৯ সালে পাবনার সুজানগর থানার উলাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সুমি। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ মোমিনুন নেসা সরকারি মহিলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। চলতি বছরের জুনে প্রভাতের আলো নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয় সুমি। এ গ্রুপের এক সদস্য ‘কোটিপতির জামাই’র সঙ্গে সুমি মেসেজ আদান-প্রদান করত। একপর্যায়ে ‘কালো পাখি’ নামে আরেকটি আইডির সঙ্গেও পরিচয় হয়। মেসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে সুমি জানতে পারে আইডিটি শরিফুল ইসলাম শরিফ ওরফে মাহমুদ নামক এক ব্যক্তির। ফেসবুকে মুসলিমকন্যা, রেড লাইট ইত্যাদি আইডির সঙ্গেও পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মাহমুদের সঙ্গে সুমির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে হয়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম