কারখানার মালিকের গ্রেফতার দাবি দুই বাম দলের
রফিক আহমেদ: গণসংহতি আন্দোলন ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ, মার্কসবাদী) দলের নেতারা টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার ২৫ শ্রমিক নিহত ও আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও কারখানার মালিককে গ্রেফতার করে বিচার দাবি করেছে।
গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বাসদ ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা এ দাবি জানান।
বাসদ কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, গত শনিবার গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস নামক পাঁচতলা কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ শ্রমিক নিহত ও প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা এখন পর্যন্ত কারখানার ভিতর প্রবেশ করতে পারেনি। কত শ্রমিকের লাশ কারখানার মধ্যে পুড়ে গেছে তা এখন পর্যন্ত অজানা। কারণ ওই কারখানার শ্রমিকের স্বজনরা এখন পর্যন্ত তাদের খুঁজে পায়নি।
তিনি অবিলম্বে নিহত ও আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও কারখানার মালিককে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মানস নন্দী ও আলমগীর হোসেন দুলাল। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য ফখরুদ্দিন কবির আতিক।
এদিকে, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম গাজীপুরে ট্যাম্পাকো ফয়লস লিমিটেড নামের প্যাকেজিং কারখানায় অন্তত ২৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু ও অসংখ্য শ্রমিকের আহত হওয়ার ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করে বলেন, দুর্ঘটনা নামে চালিয়ে দেওয়া হলেও কর্মস্থলে হতাহতের ঘটনাই আসলে এক ধরনের কাঠামোগত হত্যাকা-। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আহত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মালিকরা এই কারখানা নামের মৃত্যুকূপগুলোতে বয়লার, বৈদ্যুতিক লাইন, ভবনের কাঠামো, অগ্নি নির্বাপন, জরুরি নির্গমন পথ এই সবের যে বন্দোবস্ত রাখার কথা তা না রেখেই খরচ বাঁচিয়ে মুনাফাটা যথাসম্ভব বাড়িয়ে নেয়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম