বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতাদের আহ্বান মুসলিমদের রুখতে হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে
মাছুম বিল্লাহ ও সাজ্জাদুল হক: ভারত ও বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে উল্লেখ করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার কলকাতায় মহাজাতি সদনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন এ আহ্বান জানান। সূত্র: দৈনিক যুগশঙ্খ
জৈন বলেন,‘দেশের বিভিন্ন স্থান এবং পড়শী রাষ্ট্র বাংলাদেশে হিন্দুরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই আর ভয় নয়, এবার দেখাতে হবে পরাক্রম বা সাহস। এ আক্রমণকে প্রতিহত করতে বাড়িতে বাড়িতে মজুত লাঠি, অস্ত্র তুলে পাল্টা আক্রমণে নামতে হবে। ভিটে থেকে ভয়ে উৎখাত হওয়ার সময় শেষ। এবার দরকার মারমুখী আক্রমণ।’
বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের হাতে হিন্দুদের নিগৃহীত হওয়ার বিষয়টি আর কোনোভাবেই সহ্য না করার ডাক দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতারা বলেন,‘এপার-ওপার দুই বাংলার হিন্দুদের সমবেত হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সভায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য ও বক্তারা বলেন, ‘ভারতবর্ষে ক্রমাগতই বাড়ছে মুসলমানদের সংখ্যা। সংখ্যালঘু মুসলমানরা ধীরে ধীরে সংখ্যাগুরু হয়ে ওঠার পথে পা বাড়াচ্ছে। আগামী বছর কুড়ির মধ্যে হয়তো হিন্দু জাতিসহ অন্যান্য জাতিকে মুসলমানদের ‘অত্যাচারে’ বাস্তুচ্যুত হতে হবে। তবে এখনই যদি রুখে দাঁড়ায় হিন্দুরা, তাহলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির বদল হলেও হতে পারে।’
বক্তারা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৭ শতাংশ মুসলমান বসবাস করে। এই মুসলমানরা যদি সংঘবদ্ধভাবে ভোট দিয়ে জামায়েতের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী পদে আসীন করতে পারেন, তাহলে ৭১ শতাংশ হিন্দুরা কেন নিজেদের অধিকার প্রয়োগের সাহস দেখাতে পারবে না?’
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন দাবি, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন। আর সেই ঘৃণ্য রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে তিনি মুসলিম তোষণের পন্থা নিয়েছেন।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রশ্ন, মুসলিম তোষণের উদ্দেশ্যে মোয়াজ্জেম ভাতা বা উলেমা ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু দরিদ্র হিন্দু পুরোহিতদের জন্য কোনো ভাতা বা আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেননি। এটা কেন?
হিন্দু পরিষদের ক্ষোভ, ‘বিজয়া দশমীর দিনেই কলকাতার সমস্ত সর্বজনিন দুর্গোৎসবের প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে। এমন তুঘলকি ফতোয়া দেওয়ার কারণ কি মুসলমানদের তোষণ নয়? কারণ সামনেই আছে মহরম। আর সেই সময় মুসলমানদের তুষ্ট করার জন্যই এমন আদেশ দিয়েছেন মমতা।
হিন্দুত্ববাদী বিশাখানন্দ শঙ্কারাচার্য বলেন, একের পর এক হিন্দু নির্যাতন চলছে দুই বাংলাজুড়েই। হিন্দুরা চিরকাল শক্তির উপাসক। শক্তিরুপিণী দেবী দুর্গা বা দেবী কালিকা কখনও খড়গহস্তা, কখনও বা ত্রিশূলধারিণী। তারা অন্যায় দমনের জন্য অস্ত্র তুলে নেন। আজ হিন্দুদের সামনেও সেই ক্রান্তিকাল উপস্থিত। তাই হিন্দুরা নিজেদের রক্ষার উদ্দেশে হাতে তুলে নিক অস্ত্র। আঘাতের বদলে পাল্টা আঘাতই হবে মুখের মতো জবাব। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি