বেতন-ভাতা নেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা
মাছুম বিল্লাহ : ২০১১ সালে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। আর এবছরই নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তাঁর দল। ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। কিন্তু, এই গত পাঁচ বছরে এক টাকাও বেতন নেননি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেননি সরকারি সুযোগ-সুবিধাও। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ৪০ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। তার মধ্যে ৮ হাজার টাকা মূল বেতন। আর বাকি ৩২ হাজার টাকা ষান্মানিক ভাতা। কিন্তু, গত পাঁচ বছরে এর থেকে একটি টাকাও নেননি তিনি। এমনকি সরকারি গাড়ি, বিলাসবহুল বাংলোসহ কোনো সুবিধাই নেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকেন কালীঘাটের বাড়িতেই। বরাদ্দ ঘর ভাড়াও নেন না তিনি।
তবে তিনি বেতন না তোলার ফলে ইতিমধ্যেই বিভ্রান্তি দেখা গেছে বলে রাজ্যের অর্থ দফতর সূত্রে জানাগেছে। কারণ এই দফতরের এক কর্মকর্তার কথায়, এই টাকা দিয়ে কী করা হবে তা নিয়ে তাঁদের কাছে স্পষ্ট কোনো নির্দেশ নেই। সেই টাকা কি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে যাবে, তা নিয়েও কোনো নির্দেশ আসেনি তাঁদের কাছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী বেতন না নেওয়ায় সেই টাকা চলে যাচ্ছে রাজ্যের ভাঁড়ারে।
এদিকে ভারতের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন পান পাঞ্জাবের প্রকাশ সিং বাদল। যার বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা বেতন হিসাবে এক টাকা করে নিয়ে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধা ও বেতনের পরিমাণ নির্ণয় করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভাগুলো। এর মধ্যে চিকিৎসা, বাসস্থান, বিদ্যুতের বিল, ফোনের বিল ও ভ্রমণের খরচ রয়েছে।
তবে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁদের জন্য বরাদ্দ বেতন নিতেন। এমনকি দলের নিয়ম অনুযায়ী, সেই বেতনের চার ভাগের এক ভাগ লেভি হিসাবে দিতেন দলীয় ফান্ডে। বেতনের পাশাপাশি তাঁরা সরকারি আবাসন ও গাড়িও ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।-এনাডু ইন্ডিয়া।