আজিমপুরে নিহত জঙ্গি রাজশাহীর শমসেদ হোসেন
বিপ্লব বিশ্বাস ও ইসমাঈল হুসাইন ইমু: রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গির প্রকৃত নাম শমসেদ হোসেন। তার সাংগঠনিক নাম আবদুল করিম। ঢাকা মহানগর পুলিশ এমনটাই জানিয়েছেন।
ডিএমপির একজন কর্মকর্তা বলেন, নিহত জঙ্গির আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে। এর মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তির নাম শমসেদ। বাবার নাম মোসলেহ উদ্দীন। বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলার মেহেরচঙ্গী গ্রামে। তবে শমসেদের ব্যাপারে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি। এরআগে শনিবার রাত থেকে পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। তখন পুলিশ তার নাম করিম বলে জানিয়ে?ছিল। টিভি স্ক্রলসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিহত জঙ্গির প্রাথমিক পরিচয়ে বলা হয় আব্দুল করিম, কেউ লিখেছেন তেহজীব করীম ওরফে আব্দাল করিম, কেউ বলেছেন তার নাম বর্তমান সময়ে সমালেচিত জঙ্গির মাস্টার মাইন্ড মারজান। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) সূত্র জানায়, শমসের উদ্দিনের সাংগঠনিক নাম আবদুল করিম। এনআইডিতে তার ঠিকানার জায়গায় লেখা, ৬৩০ নং সিটি কর্পোরেশন, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। শমসের উদ্দিনের এনআইডি নম্বর- ৮১৯২২২৬৩৩৯১৫৩।
পুলিশ জানায়, শমসের উদ্দিনের ১৪ বছর বয়সী ছেলে ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলে লেভেল এইটে পড়ে। সে পুলিশকে জানিয়েছিল, তারা বাবা-মা ঘন ঘন বাসা বদলাতো। বারিধারা (বসুন্ধরা) থেকে রূপনগর, সেখান থেকে কল্যাণপুর, তারপর আজিমপুরে আসে তারা।
আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় শনিবার পুলিশি অভিযানে যার মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার নাম জানানো হয়েছিল করিম। জঙ্গি করিম আত্মহত্যা করেছিল বলে দাবি করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন। এর আগে ধারণা করা হয়েছিল, পুলিশের অভিযানে ওই জঙ্গি নিহত হয়েছে। ওই অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পুলিশের অভিযানে মারা যায়নি করিম। যখন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা ওই বাসায় অভিযান চালায় তখন তারা সেখান থেকে জঙ্গি করিমের মরদেহ এবং দুই নারী জঙ্গিকে আহত অবস্থায় পায়। অপর নারী জঙ্গি পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে আহত হয়। তবে জঙ্গি করিম কিভাবে আত্মহত্যা করেছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু উল্লেখ করেননি। তিন নারী জঙ্গিকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা হলো শাহেলা, শারমিন ও জেবুন্নাহার। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন