ঈদে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুলিশ-র্যাবের
বিপ্লব বিশ্বাস ও ইসমাঈল হুসাইন ইমু: রাজধানীবাসীর নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে র্যাব ও পুলিশ। এ জন্যে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ঈদের দিন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজকে ঘিরে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা। এছাড়া রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে শুধু রাজধানীতেই র্যাব ও পুলিশের কমপক্ষে ১৫ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
ডিএমপি বলছে, যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়েছেন তারা। ফাঁকা বাড়ি, ফ্ল্যাট আর সড়ক সন্ত্রাসীদের জন্য যাতে বাড়তি সুযোগ না হয় সে জন্য রাজধানীর পাড়া মহল্লাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাড়ির মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি।
রাজধানীর লালবাগ এলাকা। প্রস্তুতি শেষে সারি বেঁধে টহল দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য। মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে দেখে নিচ্ছেন বিভিন্ন বাড়ির আশপাশের অবস্থা। এই দৃশ্য আজিমপুর, ধানমন্ডি, মিরপুরসহ রাজধানীর প্রায় প্রতিটি পাড়া মহল্লার। পাশাপাশি বাড়ির মালিকরাও সম্পন্ন করেছেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ। এদিকে ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে নিজস্বভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু আনলে নিরাপত্তা তল্লাশি করতে দেরি হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না আনলে স্ক্যানিংয়েও সুবিধা হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজেও সুবিধা হয়। তাই আমি দেশবাসীকে অন্য কিছু না আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। এর আগে বিকাল পৌনে ৪টায় জাতীয় ঈদগায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে উপস্থিত হন বেনজীর আহমেদ। তিনি সেখানে র্যাবের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম, ডগ স্কোয়াড ও বোমা ডিস্পোজাল ইউনিটের মহড়া দেখেন।
এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ঈদ জামায়াতগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। পহেলা জুলাইয়ের হামলা, শোলাকিয়ায় হামলা, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম