১০ কর্মী নিখোঁজ
সুজন কৈরী: আগুনের ঘটনায় ট্যাম্পাকো কারখানার ১০ জন কর্মীর নিখোঁজ থাকার তথ্য জানিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরে কারখানার পাশে জেলা প্রশাসনের খোলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- কারখানার সিনিয়র অপারেটর নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (৪৫), প্রিন্টিং অপারেটর মাসুম আহমেদ (৩০), ফ্লোর হেলপার মো. রফিকুল ইসলাম (৪০), সহকারী অপারেটর আজিমুদ্দিন (৩৬), সহকারী অপারেটর জহিরুল ইসলাম (৩৭), ক্লিনার শ্রী রাজেশ বাবু (২২), হেলপার রিয়াদ হোসেন মুরাদ, প্রিন্টিং অপারেটর মো. ইসমাইল হোসেন (৪৫) ও স্কুটিং অপারেটর আনিছুর রহমান (৩০)। এছাড়া চুন্নু মোল্লা নামে আরেক কর্মীও নিখোঁজ রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসেম বলেন, ঘটনার পর থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ১০ জন নিখোঁজ থাকার বিষয়ে স্বজনদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে স্বজনরা কারখানার সামনে গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ করছেন।
নিখোঁজ স্বজনদের ছবি নিয়ে কারখানা ও আশপাশের সড়কে বসে থাকতেও দেখা গেছে। এমনই এক স্বজন হলেন মিনা রানি দে। তিনি বলেন, তার ছেলে রাজেশ বাবু শনিবার সকালে কারখানায় ঢুকে। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ। বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছেন কিন্তু দেখা পাননি ছেলের। তিনি আরও বলেন, মাত্র আট মাস আগে বিয়ে করেছেন রাজেশ। তার স্ত্রী বন্যা রানি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। নিখোঁজ নাসির উদ্দিনের চাচাত ভাই হুমায়ুন কবীর বলেন, কারখানা ছুটি হলে বাড়ি যাবেন বলেছিল নাসির। কিন্তু এখন তার খোঁজই নেই।
আলাউদ্দিন নামের একজন বলেন, তার নিকটাত্মীয় জহিরুল ইসলাম কারখানায় লাগা আগুনের পর থেকেই নিখোঁজ। স্থানীয় সকল হাসপাতালসহ ঢামেক হাসপাতালে খোঁজ করেছেন কিন্তু জহিরুলকে পাননি। তিনি বলেন, জহিরুলের লাশটা পেলেও অন্তত কবর দিয়ে নিজেকে সান্ত¡Íনা দিতে পারতেন। তার ছেলেটাও ছোট। সেও জানার পর বাবার কবর জিয়ারত করে নিজেকে বুঝাতে পারতো যে তার বাবা দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। সম্পাদনা: দেলওয়ার হোসাইন