আজিমপুরে অভিযান ‘রক্ত দেখতে আইছি’
মবিনুর রহমান: পুলিশের ব্যারিকেড ঠেলে খালি গায়ের দুটি বার/তের বছরের ছেলে এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের এক সদস্য দৌড়ে গিয়ে ছেলে দুটিকে আটকালেন জানতে চাইলেন কোথায় যাস। ছেলে দুটির নির্বাক উত্তর, রক্ত দেখতে আইছি। আপনারা যে জঙ্গিগুলারে মারছেন তাদের রক্ত। এভাবেই গত শনিবার রাতে আজিমপুরে জঙ্গি অভিযানের পর কৌতূহলী শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষের পদচারণায় ভরে যায় আজিমপুর এলাকা। রাত থেকেই এসব মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তা উপেক্ষা করে দূর থেকেই উঁকি মারতে থাকে উৎসুক জনতা। নানা রকম প্রশ্ন তাদের মনে। কেউ বলছে, ভিতরে এখনো জঙ্গি আছে। আবার কেউ বলছে, ভিতরে আছে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মারজানের লাশ। রোববার বিকালের দিকে ভিড় একটু কমলেও পুলিশের নিরাপত্তা কমেনি। বাড়িটার চারপাশে গভীর নীরবতা লক্ষ্য করা গেছে। ৬তলা বাড়িটার কোনো তলার লোকদেরই দেখা পাওয়া গেল না। এমনকি বাড়িটার গলি পথে কোনো লোকের আনাগোনাও চোখে পড়ল না। বাড়িটার ২য় তলায় ঘটেছে এ ঘটনা কিন্তু অন্য তলার মানুষগুলোর কি অবস্থা জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা আজিপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান জানান, বাড়িটার ২য় তলা সিল করা আছে । অন্যান্য তলার বাসিন্দারা নিজ নিজ ফ্লাটে আছে। সবাই আতঙ্কে আছে এর জন্য কেউ বের হচ্ছে না। উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রাজধানীর আজিমপুরে পুলিশের অভিযানে এক জঙ্গি নিহত হয়। অভিযানে আহত হয় আরও তিন নারী ও পুলিশের পাঁচজন সদস্য। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন