ঈদে কাশ্মীরে কারফিউ, মৃত ২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঈদেও শান্ত থাকলো না কাশ্মীর। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হল দু’জনের। আহত কমপক্ষে ৩০। বন্দিপোরায় কাঁদানে গ্যাসের শেল ফেটে মৃত্যু হল ১৯ বছর বয়সী মুস্তাফা আহমেদ মিরের। শোপিয়ানে হাতে এবং বুকে ছররা গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে শহিদ আহমেদ শাহের। এদিকে, শ্রীনগরে স্বাধীনতা দিবসের দিন জঙ্গি হানায় আহত পুলিশ কনস্টেবল রউস আহমেদের মৃত্যু হল দিল্লির এইমসে। পাকিস্তান ঈদের দিনটিকেও কাজে লাগাচ্ছে তাদের কাশ্মীর-রাজনীতির খেলায়। আজকাল
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেছেন, এবারে ঈদ তিনি কাশ্মীরিদের ‘চরম আত্মত্যাগ’-এর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছেন। যতদিন না কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হচ্ছে পাকিস্তান এই কাজ করে যাবে। ঈদের চেনা পরিচিত ছবি নেই কাশ্মীরে। উপত্যকার ১০ জেলাতেই কার্ফু জারি করা হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম ঈদের দিন কাশ্মীর উপত্যকায় কার্ফু জারি করা হল। এলাকার সবচেয়ে বড় মসজিদ হজরতবালে প্রার্থনা বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় মসজিদেই প্রার্থনা সারতে বলা হয়েছে। দোকানপাট, বাজারহাট বন্ধ। রাস্তাঘাট শুনশান। জাতিসংঘের স্থানীয় অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছে কাশ্মীরের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। তার জন্য অতিরিক্ত সতর্ক প্রশাসন। হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘন্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিএসএনএল ছাড়া সব ধরনের মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ। কার্ফুর বিরোধিতা করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই মেহবুবা সরকারের। ৮ জুলাই হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত কাশ্মীর। সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এরপরই সর্বত্র কার্ফু জারি করা হয়েছিল। ৪৮ দিন পর অধিকাংশ এলাকা থেকে তা তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতির আবার অবনতি হয়েছে। ঈদে হিংসা ছড়াতে পারে বলে সোমবার আবার কার্ফু ফিরিয়ে আনা হয়। সুযোগ বুঝে আবার সুর চড়াল ইসলামাবাদ। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ‘স্বাধীনতার জন্য কাশ্মীরের তৃতীয় প্রজন্ম লড়াই করছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ