খরগোশের ক্যাফে!
নূসরাত জাহান : গল্পে তো গরুও গাছে চড়ে। বাস্তবে এ কাজটি করা সম্ভব না হলেও খরগোশের জন্য রেস্তোরাঁ বানানোই যায়। এটা কোনো গল্প নয়। সেলুলয়েডের ফিতায় ইঁদুরের শেফ হওয়ার গল্প দেখা যায়। তবে ‘র্যাবিট ক্যাফে’ কোনো গল্প বা সিনেমা নয়। হংকংয়ে এমনই ক্যাফে খোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে খরগোকূলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। সূত্র : জিনিউজ।
হংকংয়ের কসওয়ে বে’র মতো ব্যস্ত এলাকায় খোলা হয়েছে বিশেষ এ রেস্তোরাঁটি। জাপানের র্যাবিট আইল্যান্ডের থাকা এমন রেস্তোরাঁ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রিকি ল্যাম ও তার বন্ধুরা হংকংয়ে খরগোশের রেস্তোরাঁ খোলেন।
এ ক্যাফেতে খরগোশদের সঙ্গ পেতে মানতে হয় কিছু কড়া নিয়মকানুন। খরগোশদের যাতে কোনো আঘাত না লাগে বা তাদের কেউ কোলে নিতে না পারে সেজন্য কড়া নজর রাখা হয়। এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে ক্যাফেটি।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে প্রাণীদের মনের ওপর বেশ চাপ পড়তে পারে। তবে ক্যাফে কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রাণীগুলোর প্রাধান্য সবার আগে। তাই তাদের দেখভালে কোনো অবহেলা করা হচ্ছে না।
দিনরাত সবসময় এ ক্যাফেতে ভিড় লেগে থাকে। আগেভাগে রিজার্ভেশন না দিলে ঢোকাই যায় না এখানে।