শাফায়েত নাজমুল, কিশোরগঞ্জ: নতুন প্রজন্ম যেন ভুল পথ ‘জঙ্গিবাদ’ থেকে ফিরে আসে, সেজন্যে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসঊদ বিশেষ দোয়া করেছেন ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহার জামাত শেষে মুনাজাতে। একইসঙ্গে মুসলিম জাতির শান্তি কামনাও করেন তিনি। গত ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের জামাতের আগ মূহুর্তে এই ঈদগাহের পাশে পুলিশের উপর হামলা করেছিল জঙ্গিরা।
এবারের জামাত নিয়ে শোলাকিয়ায় ১৮৯তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হলো। সকাল ৯টায় শুরু করা জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসঊদ।
ঈদুল আজহায় কুরবানির বাধ্যবাধকতা থাকায় সাধারণত দূরের মুসল্লিরা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করেন। সে কারণে শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় মুসল্লির সমাগম কম হয়। এরপরও মুষলধারে বৃষ্টির প্রভাবে মুসল্লির সংখ্যা নেমে আসে কয়েক হাজারে। মুসল্লি কম হলেও তিন স্তরের নিরাপত্তা এবং দেহ তল্লাশির পর প্রত্যেক মুসল্লিকে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তাছাড়া গত ঈদুল ফিতরে শোলাকিয়া মাঠের পাশে জঙ্গিহামলার কারণে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। নিরাপত্তার জন্য ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ওয়াচ টাওয়ার।
জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মুসল্লির সংখ্যা কম হয়েছে। তারপরও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁ’র ৬ষ্ঠ বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৮২৮ সনে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় সাত একর জমির উপর এ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছিল বলে মাঠের নামকরণ হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে নাম ধারণ করেছে আজকের শোলাকিয়া মাঠ- এ। সম্পাদনা: রিকু আমির