একক নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে জাতীয় পার্টি
রফিক আহমেদ: সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি দলকে শক্তিশালী করতে আগামী ডিসেম্বরে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার চিন্তাভাবনা করছে। এ মহাসমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচন এককভাবে করার ঘোষণা দেওয়া হবে বলে দলের নীতি নির্ধারকরা জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির ৭৬টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে এখনো ১৫টি জেলায় সম্মেলন বাকি রয়েছে। মহাসমাবেশের আগেই এসব জেলার সম্মেলন শেষ করতে চায় দলটি। এসব জেলায় পরীক্ষিত নেতাদের নেতৃত্বে আনার কথা ভাবছে দলের নীতিনির্ধারকরা। ডিসেম্বরে ঢাকার মহাসমাবেশের আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিভাগীয় সফরে যাবেন বলে সূত্র জানায়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতী বলেন, আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে বাকি ১৫টি জেলা সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করা হবে। এ জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ৪৪টি টিম গঠন করে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ টিমে আমাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা সম্মেলনে যাচ্ছি।
সূত্র জানায়, গত ২৮ আগস্ট কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় পার্টির প্রেসিডিয়াম, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টাম-লী ও সম্পাদকম-লী এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা ও উপজেলার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এস এম ফয়সাল চিশতী বলেন, যৌথসভা দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও শক্তিশালী করা ও আগামী জাতীয় নির্বাচন এককভাবে করতে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আর সময় নষ্ট করতে চাই না। এখন থেকেই প্রার্থী বাছাইসহ জাতীয় নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দলকেও তৃণমূল পর্যায়ে গোছাতে চাই।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন-পরবর্তী সময়ে কয়েক দফায় কমিটি গঠনের কাজ শেষ করেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি এবারই প্রথম নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেন। এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করেন তিনি। পাশাপাশি স্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং ছোট ভাই জিএম কাদেরকে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান করেন এরশাদ। জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকেও তিনি তার বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব দেন। সম্পাদনা: মোরশেদ