কাশ্মীরে নতুন মুখ এবার বুরহানের বন্ধু সবজার
হাসিবুল ফারুক চৌধুরী: কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামী হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর নেতৃত্বে এসেছেন সবজার আহমেদ বাট। বুরহানের বন্ধু এ সবজারই এখন হিজবুলের নতুন পোস্টার বয়।
‘থামলে চলবে না। চালিয়ে যেতে হবে আন্দোলন। পথে নেমে প্রশাসনের মুখোমুখি লড়তে হবে। প্রয়োজনে অস্ত্র তুলে নিতে হবে।’ কাশ্মীরি যুবকদের বিক্ষোভে সামিল করতে একদিকে এমন প্ররোচনা। অন্যদিকে হুঁশিয়ারিÑ ‘ভুল করেও যেন কোনো কাশ্মীরি সেনা বা পুলিশে যোগ না দেয়। দিলেই মৃত্যু।’ সবজার বাটের এ ভিডিওবার্তা এখন ভূস্বর্গে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
এক বুরহান ওয়ানির মৃত্যুতে ৭০ দিন ধরে জ্বলছে কাশ্মীর। এরইমধ্যে ভারতের প্রশাসনে চিন্তা বাড়িয়েছে সবজার আহমেদের ক্ষমতায়ন। বুরহানের মতো দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা সবজার বয়সে তরুণ। তাকে আপাতত বুরহানের স্থলাভিষিক্ত করেছে হিজবুল নেতৃত্ব। দায়িত্ব পেয়েই সংগঠন মজবুত করতে নেমে পড়েছে সে। একটি ভিডিও বার্তায় তরুণদের জিহাদে নামার আহ্বান জানিয়েছে সবজার। যা এখন কাশ্মীরের কিশোর-তরুণদের মোবাইল ফোনে ঘুরছে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। সবজার ছাড়াও সক্রিয় রয়েছে বুরহানঘনিষ্ঠ আর এক নেতা জাকির রশিদ বাট। উচ্চশিক্ষিত জাকিরের আর একটি ভিডিও বার্তাও এখন উপত্যকায় ঘুরছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
সবজার ও জাকির সম্পর্কে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য হলো, দুজনই সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে অস্ত্র শিক্ষা পেয়েছে। তবে সবজারকেই এক নম্বরে রাখছে নয়াদিল্লি।
আগের সরকারের আমলে কাশ্মীরজুড়ে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের হত্যা করে অস্থিরতা তৈরির পিছনে মূল মাথা ছিল এই সবজার। দক্ষিণ কাশ্মীরের রুথসুনা এলাকার এই যুবক বছর পাঁচেক আগে দলে নাম লেখায়। বাড়ি কাছাকাছি হওয়ায় বুরহানই সবজারকে জঙ্গি কার্যকলাপে টেনে আনে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন।
জাকির রশিদ বাটের বাড়ি কাশ্মীরের নুরপুরা এলাকায়। দলে নাম লেখানোর আগে তার নাম ছিল মেহমুদ গজনভি। চ-ীগড়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রটি ২০১৩ সালে ছুটিতে বাড়ি ফিরে এসেছিল। এর পর আর কলেজে ফিরে যায়নি। উচ্চশিক্ষিত, টেক-স্যাভি এই নেতা এখন পুলিশের দুশ্চিন্তার কারণ। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
সূত্র জানায়, সবজার ও জাকির গত দুই মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন জঙ্গি সংগ্রহে কিশোর-তরুণদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। এদের প্রকাশ্যে ঘুরতেও দেখা গেছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এদের প্রভাবেই ঘর ছেড়েছে শ’দেড়েক কাশ্মীরি যুবক। তারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিভিন্ন শিবিরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ