মগবাজার ফ্লাইওভারের দ্বিতীয় অংশ উদ্বোধন
মবিনুর রহমান: মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের দ্বিতীয় অংশ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইস্কাটন থেকে ওয়্যারলেস পর্যন্ত ফ্লাইওভারের এক কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অলরেডি এ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করে দিয়েছেন। আমরা এর সাইডগুলো উদ্বোধন করছি। আমি যে অংশটার উদ্বোধন করলাম, সেটার দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার। অন্য অংশগুলো আগামী বছর জুন-জুলাইয়ের মধ্যে উদ্বোধন করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়ে গেলে তা যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।’
অন্যদের মধ্যে এলজিআরডি সচিব আব্দুল মালেক, প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর দেশের দীর্ঘতম এই ফ্লাইওভারের রমনা থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
তিন দফায় এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকায়। নির্মাণকাজের মধ্যেই নকশায় ত্রুটি নিয়ে তৈরি হয় উদ্বেগ, সমালোচনা।
তারপরও নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকায় বিশাল নির্মাণকাজের ভোগান্তি আর যানজটের ধকল থেকে রেহাই পেতে নাগরিকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করা এই ফ্লাইওভার দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
তবে ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানোর পর এখন ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে সরকার।
সব মিলিয়ে আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চারলেনের এ ফ্লাইওভারে উঠা-নামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতালসংলগ্ন রাস্তা), বাংলামটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র্যাম্প রাখা হয়েছে।
ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড উড়াল সড়কটির নির্মাণ কাজ করছে। সম্পাদনা: মোরশেদ