ব্যালে নাচে মন দিয়েছে আফ্রিকান বস্তির শিশুরা
পরাগ মাঝি: কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে প্রায় দুই শতাধিক বস্তিতে ২৫ লাখেরও বেশি মানুষের বাস; যা ওই শহরের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। আর বস্তিগুলো শহরের মোট জমির মাত্র ৬ শতাংশ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ২০১৪ সালে আফ্রিকান জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্রের এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়।
আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বস্তিগুলোর একটি হলো কেনিয়ার কিবেরা বস্তি যেখানে আড়াই লাখেরও বেশি জনসংখ্যার বাস।
প্রত্যেক বুধবার সরু রাস্তা এবং অলি-গলিতে ভরা কিবেরা বস্তির ঠিক মাঝখানে অবস্থিত স্পারগন অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসরুমের সব চেয়ার এবং বেঞ্চ বাইরে বের করে দেয়। তারপর তারা ওই রুমের মেঝে ঝাড়– দিয়ে পরিষ্কার করে।
যখন তাদের শিক্ষক মাইক ওয়ামায়া ক্লাসরুমে প্রবেশ করেন, শিক্ষার্থীরা তখন সারিবদ্ধ হয়ে পজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে এবং তাদের একটি হাত উঁচু করে কংক্রিটের দেওয়ালে রাখে। আর এভাবেই ক্লাসরুমটি একটি ব্যালে বারে রূপান্তরিত হয়।
একটি ছোট্ট হালকা স্পিকার থেকে এ সময় ক্লাসিকাল সুর ভেসে আসে এবং তাদের ব্যালে ক্লাস শুরু হয়।
ব্যালে ক্লাসের এ ব্যাপারটি আফ্রিকার বস্তিগুলোর নতুন সংযোজন। এর বাইরে শিক্ষার্থীরা নাচ, সংগীত, সৃষ্টিশীল লেখা কিংবা কাজ এবং সিনেমায় আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিবেরা বস্তির দুটি স্কুলে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এছাড়া, শহরের সিটি সেন্টারের কাছাকাছি মাথার বস্তির একটি স্কুলেও এটি করানো হচ্ছে। সূত্র : আল-জাজিরা
কিবেরা বস্তির ব্যালে শিক্ষার্থী পামেলা বলে, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন টেলিভিশনে প্রায়ই ব্যালে নাচ দেখতাম। আর মনে মনে ভাবতাম, আমি যদি এক ব্যালে শিল্পী হতাম।’