রুশ হ্যাকারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে এফবিআই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এফবি আইযুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা এফবি আই কয়েকটি মার্কিন রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিত্বের পেছনে হ্যাক করার মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি করার দায়ে কয়েকজন রাশিয়ান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা এ তথ্য জানায়। রয়টার্স
কর্মকর্তারা জানান, হ্যাকিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন, কেননা প্রমাণসহ অনেক তথ্যই গোপনীয় তথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে হোয়াইট হাউস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকেই মনে করেন আইনি পদক্ষেপ নেওয়াই উচিত। কারণ এসব তথ্য আসন্ন নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে না জড়িয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়াই উত্তম বলে মনে করেন বেশ কিছু কর্মকর্তা।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছুই না করে তো বসে থাকা যায় না। তাতে দুর্বলতাই প্রকাশ পাবে ও রাশিয়ানদের আরও অনুপ্রাণিত করবে, ঝুঁকিও বাড়বে তাতে।’ অবশ্য রাশিয়া এসব হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজ প্রেস সেক্রেটারি জোশ আরনেস্ট সাংবাদিকদের জানান, হোয়াইট হাউসের পক্ষে এই মুহূর্তে কোন কঠোর অবস্থান নেওয়া কঠিন, এফবি আই এর জন্যও কাজটি কষ্টকর। জোশ বলেন, ‘আমরা এখনও সবদিক খতিয়ে দেখিনি এবং প্রেসিডেন্ট নিজেও এ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানদ- প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। আমি এফবি আইকে এ প্রসঙ্গটি প্রকাশ্যে উত্থাপন করতে দেব, তারা যা যা প্রমাণ পেয়েছে তা দাখিল করবেন। কিন্তু তাদের প্রাপ্ত সব প্রমাণই যে আমরা জনসমক্ষে হাজির করবো, তা নয়।’ তবে ওবামা প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ায় বড় দলগুলোর অনেক এমপি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। বৃহস্পতিবার ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর জিয়ান শাহিন সিনেটের ফরেন রিলেশন কমিটি বরাবর এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘রাশিয়া বহু ব্যবহৃত কৌশল দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। এর আগে ইউক্রেন ও জর্জিয়ায় করেছে, এবার আমেরিকায় করছে।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ