চীনে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক কানাডিয়ানকে মুক্তি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুইবছর আগে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনে স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার কানাডার একজন নাগরিক দেশে ফিরে গেছেন। বিবিসি বলছে, কানাডার নাগরিক কেভিন গ্যারাট ২০১৪ সালের অগাস্টে রাষ্ট্রীয় গোপনতথ্য চুরির অভিযোগে চীনে গ্রেপ্তার হন। তার স্ত্রী জুলিয়া গ্যারাটকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরের বছরের ফেব্র“য়ারিতে জামিনে জুলিয়া মুক্তি পান। বিডিনিউজ
এই দম্পতি উত্তর কোরিয়া সীমান্তে বসবাস করতেন। সেখানে তারা শরণার্থীদের সহায়তা করছিলেন বলে দাবি করেন। সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো চীন সফর করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কানাডিয়ান এই নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গ্যারাটের বড় ছেলে গুপ্তচরবৃত্তির এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন। পরিবার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মামলার নির্দেশ অনুযায়ী গ্যারাটকে বৃহস্পতিবার কানাডায় ফেরত পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে, কেভিন গ্যারাটকে নিয়ে যারা চিন্তিত ছিলেন, যারা প্রার্থনা করেছেন এবং যারা তার মুক্তির জন্য কাজ করেছেন- তাদের সবাইকে গ্যারাট পরিবার ধন্যবাদ জানিয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্যারাট দেশে প্রত্যাবর্তন করায় তিনি আনন্দিত। চলতি বছরের অগাস্টে সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন, গ্যারাটের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হবে। আগামী সপ্তায় কানাডা সফরে ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন লি কেকিয়াং। ভ্যাঙ্কুভারের গ্যারাট দম্পতি ১৯৮৪ সাল থেকে চীনের দনডং-এ বাস করছিলেন। সেখানে তারা একটি জনপ্রিয় কপিশপ চালাতেন এবং খ্রিস্টান ত্রাণ কাজ পরিচালনা করতেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত একজন চীনা নাগরিক কানাডায় আটক থাকার সঙ্গে গ্যারাট দম্পতিকে গ্রেপ্তারের সম্পর্ক রয়েছে বলে যে অভিযোগ তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন সরকার। চীনের ওই নাগরিককে ফাইটার জেট উড়োজাহাজের তথ্যচুরির দায়ে আটক করা হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ