ইসমাঈল হুসাইন ইমু : জঙ্গিহামলার পর থেকে আড়াই মাস ধরে কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে গুলশানের আলেচিত ‘হলি আর্টিজান’ রেস্তোরাঁ। ওই রেস্তোরাঁয় কাউকে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে রেস্তোরাঁয় কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
আবাসিক এলাকায় অনুমতি না নিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগে আর্টিজানের ভবন অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলতে চেয়েছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এখন সেই তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না। তবে গুলশান হামলার ২৬ দিন পর গুলশানে অবৈধ কিছু বাণিজ্যিক স্থাপনা ভেঙে ফেলে রাজউক।
গত ১৭ জুলাই সচিবালয়ে আবাসিক প্লটে ও ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে ও উচ্ছেদ অভিযানের অগ্রগতি নিয়ে একটি বৈঠকে গণপূর্তমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ জায়গায় নার্সিং হোম করার জন্য ১৯৭৯ সালে মালিককে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। রেস্তোরাঁ বা বেকারি করার কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। গুলশান ২-এর ৭৯ নম্বর সড়কে ১০ কাঠা জমির উপর দোতলা ভবনে গড়ে ওঠা হলি আর্টিজান বেকারি ভিনদেশিদের কাছে বেশ প্রিয় ছিল। লেকের ধারের এ ক্যাফেতে খোলা লনও ছিল। গত ১ জুলাই রাতে একদল জঙ্গি ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কজনকে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে প্রথমে জিম্মি ও পরে হত্যা করে। সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে নিহত হন দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর সকালে অভিযান শেষে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মির লাশ উদ্ধার করা হয়। কমান্ডো অভিযানে নিহত ছয় জঙ্গির লাশ পাওয়ার কথাও জানায় নিরাপত্তা বাহিনী। বর্তমানে যাদের লাশ রয়েছে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সম্পাদনা : রিকু আমির