এম রবিউল্লাহ: ভারতের অরুণাচল প্রদেশে গভীর সঙ্কটে পড়েছে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। কংগ্রেসের মাত্র একজন বিধায়ক ছাড়া বাকি সবাই অন্য দলে যোগ দিয়েছেন।
দলত্যাগীদের তালিকায় রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডু। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে অরুণাচলে শত বছর পুরানো দল কংগ্রেসের সরকার হারানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সূত্র: এনডিটিভি, এবিপি নিউজ ও নিউজ ১৮
দলের কোন্দল ঠেকাতে সরকার বাঁচাতে দুই মাস আগেই এই প্রেমা খান্ডুকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিল কংগ্রেস। দুই মাস অতিবাহিত হতে না হতেই খান্ডুসহ কংগ্রেসের ৪৩ জন বিধায়ক শুক্রবার পিপলস পার্টি অব অরুণাচল প্রদেশ (পিপিএ)-তে যোগ দেন।
তাতে কংগ্রেস সরকার এখন কার্যত পিপিএ সরকারে পরিণত হয়েছে। একমাত্র যে বিধায়ক কংগ্রেসে আছেন তিনি হলেন নবাম টুকি। তাকে সরিয়ে খান্ডুকে ক্ষমতায় এনেছিল কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলের মতে, গেরুয়া-শিবিরের সঙ্গে পিপিএ জোট গঠন করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট না হলেও, জোট গঠন করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভায় প্রথমে কংগ্রেসের ৪৭ জন বিধায়ক ছিল। তবে অনেক আগেই দুজন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার ফলে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৪৫। বিরোধী বিজেপির ১১ জন বিধায়ক এবং ২ জন নির্দলীয় বিধায়কও রয়েছেন।
দলের অভ্যন্তরীণ কলহের জেরে জানুয়ারি মাসে নবাম টুকির সরকারের পতন হয়। জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। এরপর অল্প সময়ের জন্য কালিখো পুলের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জুলাই মাসে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারাতে হয়। গত মাসে আত্মহত্যা করেন কালিখো পুল। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি