আইএসের যৌনদাসী থেকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১৪ সালে ইরাকের নাদিয়া মুরাদকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে। তারপর একাধিকবার যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাকে। সেই নাদিয়াই এখন জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হয়ে কাজ করার সুযোগ পেলেন। মূলত যৌন হেনস্থার শিকার মহিলা এবং মানুষপাচারসংক্রান্ত বিভাগ নিয়েই কাজ করবেন নাদিয়া। এনডিটিভি
দীর্ঘ সময় ধরে আইএস জঙ্গিরা তাকে বাধ্য করে যৌনদাসী হয়ে থাকতে। ২০১৪ সালে যখন ইরাকের বাড়ি থেকে নাদিয়াকে অপহরণ করে জঙ্গিরা সেই সময় তার চোখের সামনেই তার বাবা এবং ভাইকে খুন হতে দেখেন তিনি। তিন মাস পর কোনো রকমে সেই নরক থেকে জান নিয়ে পালাতে সক্ষম হন নাদিয়া। নাদিয়া যেহেতু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের, তাই অনেক বেশি অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি একাধিকবার জঙ্গিদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্মেলনে প্রথমবার নাদিয়া তার বীভৎস অভিজ্ঞতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে বলেন, ‘কিভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার করত আইএস জঙ্গিরা তা ধারণাও করা যায় না। শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর যখন মহিলাদের ধর্ষণ করা হতো তার আগে প্রার্থনা করতে বাধ্য করতো জঙ্গিরা। নাদিয়া তার ব্লগে লিখেন, ‘এখন আমি যৌন হেনস্থার শিকার মহিলা এবং শিশুদের নিয়ে কাজ করব। এসব অত্যাচারের সম্মুখীন যারা হয়েছে তাদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনাটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। জাতিসংঘে কাজ করার সুবাদে এ লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াটা আমার জন্য সহজ হবে।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ