বনানীতে রিকশাচালককে গুলি অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা সুন্দরী সোহেল গ্রেফতার
সুজন কৈরী: রাজধানীর মহাখালীতে এক রিকশাচালককে গুলির ঘটনায় যুবলীগ নেতা ইউসুফ সরদার সোহেল ওরফে সুন্দরী সোহেলকে পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। তার সহযোগী আরেক সন্ত্রাসী শাহ আলমকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মাদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, রিকশাচালককে গুলির মামলায় সন্ত্রাসী সুন্দরী সোহেলকে গতকাল শুক্রবার গুলশানের হোটেল আমারী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার লাইসেন্সকৃত পিস্তলটিও জব্দ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক জবাব না পেলে কাল (আজ) আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। এ মামলায় অপর আসামি সোহেলের সহযোগী শাহ আলমকেও খোঁজা হচ্ছে। গ্রেফতার ইউসুফ সরদার সোহেল ওরফে সুন্দরী সোহেল বনানী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আর পলাতক শাহ আলমও যুবলীগ নেতা।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহাখালীর আমতলী মোড়ে বনানী ২ নম্বর রোডের মাথায় রিকশাচালক কবির হোসেনের পায়ে গুলি করে সুন্দরী সোহেল ও শাহ আলম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ কবির হোসেন জানান, গুলশান থেকে ৪০ টাকায় ভাড়ায় দুজন যাত্রী নিয়ে তিনি বনানীর দুই নম্বর রোডের মাথায় (আমতলী মোড়) যান। ভাড়া না দিয়ে রিকশা থেকে নেমে হাটা শুরু করেন তারা। এ সময় ভাড়া চাইলে তারা গালমন্দ করেন। পরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কবিরের পায়ে গুলি করে বীরদর্পে চলে যান। পরে তার পরিচিত চাঁন মিয়া তাকে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সুন্দরী সোহেল ও শাহ আলমকে আসামি করে তিনি বনানী থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পর সোহেল থানায় এসে একটি জিডি করেছেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, রাস্তায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন তারা। পরে আত্মরর্ক্ষাথে গুলি ছুঁড়েছেন। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম