বাংলাদেশি ইমামের হত্যার নেপথ্যে আইএসের মতাদর্শ : ক্রাউন কোর্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের ক্রাউন কোর্টের এক রায়ে মোহাম্মেদ হোসেন সাঈদী নামের ২১ বছর বয়সী তরুণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ইমাম জালাল উদ্দিন হত্যাকা-ের প্রমাণ মিলেছে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে তাকে ন্যূনতম ২৪ বছর সাজা ভোগ করতে হবে। রায়ে বলা হয়, রোগমুক্তিসহ অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাবিজ দেওয়ার অজুহাতে ৭১ বছর বয়সী ‘বিনয়ী, শ্রদ্ধেয়’ এই ইমামকে হত্যা করা হয়। হত্যাকা-ের পিছনে আইএসের আদর্শ কাজ করেছে। গার্ডিয়ান
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেগু আদালতে উপস্থাপিত এক ছবিতে জালালিয়া মসজিদের বাইরে আইএসের পতাকার মতো একটি পতাকা ধরে সাঈদীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আরেকটি ছবিতে তাকে দেখা যায় ‘স্ট্যাবপ্রুফ ভেস্ট’ পরা অবস্থায়। আদালতের রায়ে বলা হয়, কোরআন সম্পর্কে জানাশোনার কারণে অনুসারীদের কাছে ‘ক্বারি সাব’ নামে পরিচিত জালাল উদ্দিনকে সাঈদী ও তার বন্ধু কাদির ‘ম্যাজিশিয়ান’ হিসেবে বিবেচনা করেন। হত্যাকা-ের ছয় মাস আগে তারা মসজিদ থেকে জালাল উদ্দিনের তাবিজ সংক্রান্ত নথিপত্র ও বই নিয়ে ধ্বংস করেন।
ঘটনার পাঁচদিন পর গোয়েন্দারা সাঈদীকে তার রচডেলের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইলে জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর দৃশ্য দেখতে পান। এ সময় তার বাসা থেকে আইএসের প্রচারণামূলক অনেক নথি উদ্ধার করা হয়।
প্রসিকিউটর পল গ্রিনি আদালতে বলেন, ‘জালাল উদ্দিন রোগ সারাতে রুকিয়া নামে ইসলামি পন্থা চর্চা করতেন। আইএসআইএস এটাকে ‘ব্ল্যাক ম্যাজিক’ হিসেবে দেখে এবং তারা মনে করে, যারা এর চর্চা করে তাদের কঠিন শাস্তি, এমনকি মৃত্যু প্রাপ্য’। “বিবাদী মোহাম্মেদ হোসেন সাঈদী এবং মোহাম্মেদ আব্দুল কাদির নামে তার সহযোগী আইএসআইএসের সমর্থক এবং সে কারণে তারা ওই দৃষ্টিভঙ্গি লালন করেন যে, যারা রুকিয়া চর্চা করে তাদের এ ধরনের শাস্তি প্রাপ্য।” বলেন প্রসিকিউটর পল গ্রিনি।
কাদির আইএস সমর্থক বলে স্বীকার করলেও ইমাম হত্যায় তিনি সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন সাঈদী। যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই ছাত্র তাবিজের ব্যবহার নিয়ে নিজের আপত্তির কথাও আদালতে বলেছিলেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ