মিসরে ব্যয় কমাতে মায়েদের স্তনের দুধ পরীক্ষা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিশরে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে শিশুখাদ্যে ভর্তুকি কমাতে মায়েদের স্তনের দুধ আছে কিনা পরীক্ষা করার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারা দেশে শিশুদের জন্য প্রতি বছর পাঁচ কোটি দশ লাখ ডলার সমমূল্যের শিশু খাদ্য সরবরাহ করে থাকে মন্ত্রণালয়। কিন্তু সম্প্রতি শতকরা ৪০ ভাগ দাম বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে শিশু খাদ্য পাওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুগান্তর
বলা হচ্ছে, যেসব নারীর একের অধিক সন্তান, ফুলটাইম কাজ করেন এবং ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে তারাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিশু খাদ্য পাবে। তবে তাদের স্তনে দুধ আছে কিনা তা যাচাই করেই তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যেসব মা তাদের সন্তানদের জন্য সরকারি শিশুখাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের একজন চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা দিয়ে স্তনে দুধ না থাকার বিষয়ে লিখিত নিশ্চয়তাপত্র নিতে হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানী কায়রোতে দেশটির প্রধান ওষুধ কোম্পানির কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে শিশুখাদ্য স্বল্পতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন মিশরীয় মায়েরা। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ সম্প্রতি মিশরকে তিন বছরের জন্য ১২শ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য ভর্তুকি কমাতে এবং করহার বাড়ানোর বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এদিকে শিশুখাদ্য নিয়ে বিতর্ক সামাল দিতে মিশরীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ব্যাপকহারে শিশুখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য ওষুধ কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া বাণিজ্য করার অভ্যাসই দায়ী।