আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ২৫ আগস্ট দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল একটি খবর; ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বাসিন্দা ধন মাঝি টাকার অভাবে তার স্ত্রীর মরদেহ কাঁধে নিয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার হেঁটেছেন। চোখ মুছতে মুছতে তার ছোট মেয়ে হাঁটছিল পাশেই। বিবিসি বাংলা
ভারতের সব থেকে পিছিয়ে থাকা জেলা হান্ডি। ওই হাসপাতাল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য এতদূর হেঁটে ছিলেন তিনি। সংবাদপত্রে ধন মাঝির এমন দুর্দশার খবর দেখার পর বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইশা আল খলিফা তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বিবিসি বাংলা জানায়, দিল্লির বাহরাইন দূতাবাসে ধন মাঝির জন্য রাজা প্রায় নয় লক্ষ টাকার চেক পাঠিয়েছেন। সেই চেক নিতেই গত বৃহস্পতিবার জীবনে প্রথমবার বিমানে চেপে দিল্লি গিয়েছিলেন ধন মাঝি। এর আগে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীও তাকে অর্থ সহায়তা করেছেন। ওড়িশার কয়েকজন বিধায়কও তার হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন। সাহায্য এসেছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেও। রাজধানী ভুবনেশ্বরে আদিবাসী শিশুদের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার তিন মেয়ের আজীবন পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। মেয়েদের সেই স্কুলে ভর্তি করে দিয়েই দিল্লির বিমান ধরেন তিনি। রাজার চেক নিতে যাওয়ার সময়ও তার পরনে ছিল নীল লুঙ্গি আর একটা পুরনো জামা। কাঁধে গামছা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে ধন মাঝি জানান, এসব টাকাই তিনি ব্যাংকে দীর্ঘমেয়াদি আমানত হিসাবে রেখে দেবেন, যাতে তার মেয়েদের পড়াশোনার জন্য খরচ করতে পারেন। তার মেয়েদের পুলিশ বা ডাক্তার করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ