আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দৃষ্টিহীনদের জগত অন্ধকার, এ কথা মানতেই নারাজ তিনি। তার মতে, মূলত
ইচ্ছাশক্তিহীনদেরই জগত অন্ধকার। তিনি বিশ্বাস করেন, মনে জোর থাকলে যাওয়া সম্ভব অনেক দূর পর্যন্তই। শুধু বিশ্বাস পোষণই নয়; নিজের কাজ দিয়ে সেটাই প্রমাণ করে চলেছেন জোয়াও মাইয়া। অন্ধ এই ফটোগ্রাফার এখন রিওতে তুলছেন খেলার ছবি। আর আলোহীন চোখে দুর্দান্ত সব ছবি তুলে চমকে দিলেন পৃথিবীকে। বিবিসি
রিও অলিম্পিকের পরে এখন রিও-ডি-জেনেরোতে চলছে প্যারালিম্পিক। এই ইভেন্ট কভার করতে সারা পৃথিবী থেকে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিখ্যাত ফটোগ্রাফাররা। তাদের মধ্যে নিজেকে ‘অনন্য ফটোগ্রাফার’ করে তুলেছেন জোয়াও মাইয়া।
এখন বয়স ৪১। দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ২৮ বছর বয়সে। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে তখন পোস্টম্যানের চাকরি করতেন জোয়াও। প্রতিবন্ধকতা জয় করতে প্রথমে শিখলেন ব্রেইল। তার পরই ছবি তোলার ভাবনা মাথায় আসে। এক হাতে ক্যামেরা ও অন্য হাতে অন্ধের যষ্টি নিয়ে শুরু হয় পথচলা।
জোয়াওয়ের ভাষ্য, ‘ফটোগ্রাফির মূল কথা হল অনুভবশক্তি। পৃথিবীকে যেভাবে আমি দেখছি অথবা অনুভব করছি সেটা অন্যদের দেখাতে পারাটাই একটা অসাধারণ ব্যাপার।’
জোয়াও বেশ কয়েক বছর ধরেই মনোনিবেশ করেছেন স্পোর্টস ফটোগ্রাফিতে। চোখে না দেখে ছবি তুলতে হলে খুব গুরুত্বপূর্ণ পারিপার্শ্বিক শব্দগুলোকে ‘সেন্স’ করা। শব্দগুলো ‘সেন্স’ করেই হয় শাটার ক্লিক। এইভাবে স্পোর্টস ফটোগ্রাফি যে কতটা কঠিন সেটা যারা ছবি তোলেন, তারাই বুঝবেন।
গত এক বছর ধরে সেই বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছেন জোয়াও এবং জায়গা করে নিয়েছেন প্যারালিম্পিকের ফটোস্ট্যান্ডে, পৃথিবী সেরা ফটোগ্রাফারদের পাশে। প্যারালিম্পিক বা প্রতিবন্ধীদের এই অলিম্পিকে জোয়াও-এর মতো শারীরিক প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন ফটোগ্রাফাররাও অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু আর সবার মধ্যে নিজেকে ‘সেরা’ অবস্থানে নিয়ে গিয়েছেন জোয়াও। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ