সজল সরকার: ভারতের চলচ্চিত্র বাজার অনেক আগে থেকেই জাতীয় অর্থনীতিতে ভ’মিকা রেখে আসছে। এখন প্রতিযোগিতার বাজারে একটার পর একটা সিনেমা লাভ করার জন্য যেমন মরিয়া এবং তারই সঙ্গে বেড়ে উঠছে সিনেমার বিজ্ঞাপনের প্রতিযোগিতা। সিনেমা হিট করতে মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম তবে কোন মিডিয়া সিনেমা হিট করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তা নির্বাচন করাটাও জরুরি। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তবে সিনেমার প্রচারকার্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কতটুকু কার্যকর তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বিশ্লেষকদের মধ্যেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মন্তব্য করার অবাধ সুযোগ থাকায় সিনেমা প্রচারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ধরনের প্রভাবই রয়েছে। সিনেমার প্রচার কাজে জড়িত অক্ষয় রেঠি বলেন, ‘যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন খুবই জনপ্রিয় সেহেতু সিনেমা প্রচারের কাজে ফেসবুক বা টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধুমাত্র সোস্যাল মিডিয়া-ই সিনেমা প্রচারের জন্য যথেষ্ট নয়। একটি সিনেমাকে অনেক দিক থেকে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনেক মাধ্যমেরই দরকার হয়।’
আরেকটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সহকারী পরিচালক তুষার জৈন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব থাকলেও সাধারণত স্বল্প বিনিয়োগের সিনেমাগুলোরই ফেসবুক বা টুইটারের মত মিডিয়াকে বেছে নেওয়া উচিত প্রচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য।’ এর পিছনের কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ‘যেসব বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি পায় তা প্রচারের জন্য সোস্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিকও ভাবতে হয়। কিন্তু স্বল্প বাজেটের সিনেমা প্রচারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই প্রচারের ক্ষেত্রে। সূত্র : দ্য হুট। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম ও ফয়সাল