হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা অনাগত সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারলেন না শাহ আলম
আজাদ হোসেন সুমন: স্ত্রীসহ ঢাকার যাত্রবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকতেন কক্সবাজারের ইনানী বীচে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত শাহ আলম। অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই চিরবিদায় নিতে হলো তাকে। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। আত্মীয়-স্বজনের কোনো সান্ত¡নাই যেন তার কর্ণগোচর হচ্ছে না। শুধু ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকছেন আর থেমে থেমে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠছেন হ্যায় আল্লাহ তুমি একি করলা, ওর সাথে আমারে নিয়া গেলানা ক্যানরে আল্লাহ। তার বুকফাটা আহাজারি উপস্থিত সবার চোখ ছল ছল করে।
আমাদের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম জানান, ছেলেকে হারিয়ে মা লতিফা বেগম পাগল প্রায়। তিনি নাওয়া -খাওয়া ভুলে শুধু বিলাপ করছেন, শাহ আলমরে তোরে ঈদে বাড়ি আইতে কইছিলাম-এইডা কোন আহন আইলিরে বাবা। ফোন কইরা কে অহন আমার খবর লইবো’। নিহত শাহ আলমের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার চাম্পাফুল ইউপির রাজাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শেখ শামছুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আরও চার আরোহী আহত হয়েছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতের চাচাত ভাই শেখ আনিছুর রহমান জানান, তার মেজো চাচা শেখ শামছুর রহমানের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে শাহ আলম সবার ছোট। তিনি ঢাকা হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পাস করেন। চার বছর আগে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরি নেন। স্ত্রীসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন শেখ শাহ আলম। ২০১৫ সালে তিনি বিয়ে করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। সর্বশেষ ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৫ জুলাই তিনি গ্রামের বাড়ি তেঁতুলিয়া আসেন। অফিসের কাজ থাকায় তিনি ঈদুল আজহায় বাড়িতে আসতে পারেননি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিষ্ঠানের কাজে তিনি ঢাকা থেকে বাসযোগে কক্সবাজার যান। শুক্রবার ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলে তিনি নিহত হন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম