সাকিবকে নিয়ে হেলিকপ্টার কক্সবাজারে স্থানীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতো না
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: কক্সবাজার বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত বলেছেন, মেঘনা গ্রুপের হেলিকপ্টার কক্সবাজারে আসবে ও ল্যান্ড করার পর পর আবার চলে যাবে এ ধরনের কোনো বার্তা আমরা কোনো দিক থেকে পাইনি। এ কারণে আমাদের আগাম কোনো সতর্কতাও ছিল না। তবে হেলিকপ্টার মালিকপক্ষ দাবি করেছে, তারা ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছিল। জনাব মোহন্ত বলেন, আমাদের এয়ারপোর্টে রেগুলার ফ্লাইট চলাচল করে সকাল নয়টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। এরপর এয়ারপোর্টের রাডার ও কন্ট্রোল টাওয়ারসহ সবকিছুই বন্ধ থাকে। কিন্তু এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকলেও হেলিকপ্টারের ফ্লাইট উঠা-নামা করতে পারে। আমাদের এয়ারপোর্ট বন্ধ থাকলে ওই সময়ের ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ করা হয় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কিংবা যে রেঞ্জে হয় সেই রেঞ্জ থেকে। আমাদের এদিকে হলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে।
তিনি বলেন, মেঘনা এভিয়েশনের ওই ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে এসেছিল। এরপর সাকিব আল হাসানকে নামিয়ে দিয়েছে। পরে তারা ফ্লাইটটি টেকঅফ করেছে। টেকঅফ করার আগে নিয়ম হচ্ছে যখন যেখান থেকে টেক অফ করবে সেখানে কোনো বিমানবন্দর থাকলে সেই কর্তৃপক্ষকে জানানো। কিন্তু মেঘনা এভিয়েশনের তরফ থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে সিভিল এভিয়েশন সূত্র জানায়, হেলিকপ্টার কোম্পানির তরফ থেকে ঢাকায় সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে যে, তারা কক্সবাজারে ফ্যাক্স করেছিলেন। কক্সবাজারের এয়ারপোর্টের কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ফ্লাইটটি সাতটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে বলে শুনেছি। ওই সময়তো আমাদের বিমানবন্দর খোলাই হয় না। নয়টার আগে আমরা কোনো সার্ভিস দিতে পারি না। আবার তারা যখন ঢাকায় ফিরে যাচ্ছিল সেটাও নয়টার আগে। সেই খবরও তারা দেয়নি। আমরা এয়ারপোর্ট খোলার পর সাড়ে নয়টার দিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাই আমাদের নিরাপত্তা বিভাগের কাছ থেকে ল্যান্ড ফোনে। এছাড়াও আমরা খবর পাই পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে।
ঘটনার তদন্ত করার পর আসল ঘটনাটি জানা যাবে বলেও জানান সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। ঘটনার দিনই সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির দুই তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারা ঘটনার পুরোপুরি তদন্ত শুরু করবেন রোববার থেকে। তারা শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছেন।