এবার শহরকে বাঁচাবে দুর্ধষ্য এক নারী
ডেস্ক রিপোর্ট: মিরর’স এজ ক্যাটালিস্ট হলো রোমাঞ্চকর আর অ্যাকশন গেম। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লে স্টেশন-ফোর ও এক্সবক্স ওয়ান সংস্করণে রিলিজ করেছে গেমটি। কিছুদিন আগে এটি ২০০৮-এর মিরর’স এজের পুরনো ভার্সন নতুন করে গেমটি তৈরি করে। মিরর’স এজ ক্যাটালিস্ট গেমটির গল্প গড়ে উঠেছে ফেইথ কনরস নামে এক মেয়েকে নিয়ে। কাসকাডিয়া জাতির প্রতিনিধিত্বকারী একটি ডিস্টোপিয়ান শহর হচ্ছে গ্নাস। কাসকাডিয়া জাতিকে অমনিস্ট্যাট থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর কয়েক বছর ধরে চলা দ্বন্দ্ব-সংঘাতের পর কাসকাডিয়া ১৩টি করপোরেশনের সমন্বয়ে গঠিত কনগ্নোমিরেটের শাসনের অধীনে চলে আসে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহার করেই মূলত এই আধিপাত্য বজায় রেখেছে এরা।
বেশিরভাগ কাসকাডিয়ানরা কর্পোরেশনগুলোর জন্য চাকরি করে জীবিকা চালায়। এরমধ্যে গ্রিডের মতো সামাজিক পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে কাসকাডিয়ানদের সঙ্গে ভালো সখ্য গড়ে ওঠে। তারা চায় কেসেকদের এড়িয়ে কাজ করতে। আর এতেই বাদ সাধে কর্তৃত্বশালীরা। বেধে যায় দাঙ্গা। এতে ফেইথ কনরসের পরিবারের সবাই মারা যায়। একমাত্র তার বোন ক্যাট আহত অবস্থায় বেঁচে থাকে। মূলত ফেইথ তার বোনকে বাঁচাতে একটি মার্কেটের বস ডোজেনের হয়ে কাজ শুরু করে। এক সময় সে জেলে যায়। জেল থেকে বের হয়ে তার শহরকে শোষকদের হাত থেকে রক্ষার মিশনে নেমে পড়ে।
এখানে গেমারকে ফেইথ কনরসের চরিত্রে খেলতে হবে। গেম মিশন শেষ করতে গেমার শহর গবেষণার ধারণা ও পারকোর মুভমেন্টকে কাজে লাগাতে পারবে। এ সময় কখনও শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বা এড়িয়ে পথ চলতে হবে। গেমার পরিবেশ থেকে পাওয়া জিপ লাইন বা লেজের মতো উপাদান ব্যবহার করতে পারবে। দালানকোঠা পারাপারের জন্য ম্যাগ রোপ ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এছাড়া গেমার যখন ম্যাপে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করবে, তখন ফেইথের বিশেষ রানার ভিশন অটোম্যাটিকভাবে চালু হয়ে যাবে, যা লালবাতি নির্দেশ করে গেমারকে তার লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছতে দিক-নির্দেশনা করা হবে। এসব সুবিধা কাজে লাগিয়েই গেমারকে মিশন সম্পূর্ণ করতে হবে।
এই গেমটি খেলতে যা যা লাগবে : প্রসেসরঃ ইন্টেল কোর-আই৩, র্যামঃ ৬ জিবি, গ্রাফিক্স কার্ডঃ এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ৬৫০ বা এএমডি রেডিওনের আর৯ ২৭০ এক্স, ফ্রি হার্ডডিস্ক স্পেসঃ ২৫ জিবি।