মরু রঙে মজতে চলেছে মুদিয়ালী
ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের রাজস্থান মানেই রঙের মেলা। পাগড়ি থেকে চিত্রকলা, সবেতেই নানা রঙের সমাহার। তাই বর্ণময় শারদ উৎসবকে রাজস্থানী রঙে মেলাতে চলেছে মুদিয়ালী ক্লাব। দক্ষিণ কলকাতার এই অভিজাত পুজোর ম-প জুড়ে এবার দেখা যাবে মরু দেশের শিল্পের আলপনা।
মন্ডপসজ্জায় রাজস্থানের তিনটি শিল্পকলাকে একই সূত্রে বাঁধা হয়েছে। জয়পুরে তৈরি হওয়া জেম স্টোন পেন্টিং বা রতœচিত্র দিয়ে সজ্জিত হচ্ছে মন্ডপের অন্দরমহল। মিনাকারী ও রাজস্থানী পট চিত্রের সাহায্যে মন্ডপের দেওয়াল জুড়ে হর-পার্বতীর অভিসার থেকে সংসার, কৈলাসের নানা মুহূর্ত জীবন্ত হয়ে উঠবে।
অন্দরমহল তো বটেই মন্ডপের বাইরেও দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ চমক থাকবে। মন্ডপশিল্পী সুমি মজুমদার জানিয়েছেন, প্রবেশদ্বারে একটি বিশালাকৃতি ধনুক থাকবে। যার মধ্যে দিয়ে সূর্যদেব, সঙ্গে তার বাহন সাতটি ঘোড়াকে দেখা যাবে। মন্ডপের প্রবেশদ্বারে ধনুক রাখার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শিল্পী। তাঁর কথায়, রাজস্থানের দক্ষিণ প্রদেশে ভীল প্রজাতিরা তীর-ধনুকে পারদর্শী।
মহাভারত বিশ্লেষকদের মতে, অর্জুনকে ছাপিয়ে যাওয়া একলব্য ওই প্রজাতিরই প্রতিনিধি ছিলেন। ভারতের প্রখ্যাত তীরন্দাজ লিম্বারামও এই রাজস্থানেরই বাসিন্দা। তীরন্দাজী পারদর্শিতাকে ফুটিয়ে তুলতেই প্রবেশদ্বারে বিরাট ধনুক রাখা হচ্ছে।
এ বছর মুদিয়ালীর প্রতিমা ও আলোকসজ্জাতেও বড় পরিবর্তন এসেছে। এতদিন থিম যাই হোক না কেন সাবেকি প্রতিমা ও ঝাড়লন্ঠন দেখা যেত। কিন্তু চিরাচরিত রেওয়াজ থেকে এবছর নিজেদের ভেঙে অন্য ভাবে গড়ছে মুদিয়ালি। এবার ‘রাজদেবী স্থান’ যেহেতু তাদের থিম তাই দেবীর পোশাক, গয়না, সবকিছুতেই রাজস্থানী ছাপ থাকছে।
আলোকসজ্জাতেও থাকছে রাজস্থানী ঘরানার উজ্জ্বল ছোঁয়া। বর্ণময় আলোকসজ্জায় অন্য মাত্রা যোগ করতে দেওয়ালের কুলুঙ্গিতে রাখা হচ্ছে মার্বেল লন্ঠন। সেই সঙ্গে আবহে ভাসবে রাজস্থানী সুর ও সূর্যমন্ত্র।