‘হিজরতে রয়েছি’ পুলিশ হেফাজতে জঙ্গিনেতার আট বছরের কন্যার জবাব
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের আট বছর বয়সী মেয়ে জুনায়রা নুরিন পিংকি পুলিশের হেফাজতকে ‘হিজরতে রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছে।
সূত্র জানায়, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কৌশলে জুনায়রা নুরিন পিংকির মানসিক অবস্থা জানতে চান তদন্ত কর্মকর্তারা। তারা পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করে গল্পের ছলে নুরিনের কাছে জানতে চান, পুলিশ হেফাজতে বা কারাগারের পরিবেশে সমস্যা বা কষ্ট হচ্ছে কিনা? কর্মকর্তারা অভিভাবকসূলভ আচরণে তাকে বলেন, বাসায় কত আরামের বিছানায় ঘুমিয়েছ, আরামদায়ক সোফায় বসেছ, টেলিভিশন দেখেছ বাবা-মার সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছ অথচ এখানে কত কষ্ট হচ্ছে তোমার। পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে এমন কথার তাৎক্ষণিক জবাবে নিহত জঙ্গি নেতা মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের আট বছরের মেয়ে জুনায়রা নুরিন পিংকি জানায়, আমার বাবা বেহেস্তে গিয়েছে। সেখানে বাবা আমাদের অপেক্ষায় আছেন। আমি আর মা-ও সেখানে যাব। কারাগারে কষ্টের জবাবে নুরিন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানায়, আমি এখানে এখন হিজরতে আছি। হিজরতের সময় কষ্টতো হবেই। তবে এটা কোনো বিষয় নয়। আট বছরের এ শিশুর জবাবে হতবিহব্বল হয়ে পড়েন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে গোপন সূত্রের খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় জঙ্গি নেতা আব্দুল করিম ওরফে তানভীর কাদেরী আত্মহত্যা করে। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের আট বছরের মেয়ে জুনায়রা নুরিন পিংকি, তানভীর কাদেরের ১৪ বছরের ছেলে তাহরীম কাদেরী ওরফে রাসেল ও পলাতক জঙ্গি বাশারুল্লাহ ওরফে বাশারুজ্জামানের এক বছরের সন্তান সাবিহা জামান।
এর মধ্যে তানভীর কাদেরের ১৪ বছরের ছেলে তাহরীম কাদেরী ওরফে রাসেলকে সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আর শিশু জুনায়রা ও সাবিহা জামানকে পরিবারের হেফাজতে রাখা হয়েছে। সম্পাদনা: বিশ্বজিৎ দত্ত