জঙ্গি কিশোর তাহরিম কাদেরীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
আজাদ হোসেন সুমন: রাজধানীর আজিমপুর জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া তাহরীম কাদেরী রাসেল (১৪)-কে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এই জঙ্গি কিশোর ঘটনার দিন আজিমপুরের আস্তানায় প্রবেশের সাথে সাথে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
লালবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে রাসেলকে আদালতে নেয় পুলিশ। আদালতে পেশকৃত পুলিশের ফরোয়ার্ডিংয়ে বলা হয়, ‘জঙ্গি কিশোর তাহরিম কাদরী রাসেল পারিবারিকভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। সে জন্মের পর থেকে বাবা-মা জঙ্গিবাদে তৎপর দেখেছে এবং সে নিজেও আপাদমস্তক জঙ্গিতে পরিণত হয়েছে। আবেদনে আরও বলা হয়, কিশোরটি জেএমবি সদস্য। ঘটনার দিন পুলিশ ওই জঙ্গি আস্তানার একটি কক্ষে ঢোকে। এ সময় সে দরজা আটকে দিয়েছিল। পুলিশ দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ওই কিশোর পুলিশের ওপর ছুরি হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে পুলিশ তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার পরিবারের সবাই জেএমবির সদস্য। জঙ্গি সম্পর্কিত অনেক তথ্য তার জানা আছে এবং সেসব তথ্য উদ্ধারে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ওই বাসায় যাতায়াতকারী আরও কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় নারী-পুরুষের বিষয়ে সে প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের আস্তানার সন্ধান, জঙ্গিদের নাম ঠিকানা জানতে বিভিন্ন স্থানে তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনার জন্য দশ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
উল্লেখ্য গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে রাসেলের বাবা তানভীর কাদেরী ওরফে জামশেদ ওরফে আব্দুল করিমের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া তিন নারী জঙ্গিকে আহতাবস্থায় আটক করে পুলিশ। অভিযানের সময় ওই আস্তানা থেকে রাসেল ছাড়াও আরও দুই মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পরিবারের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে উপযুক্ত প্রমাণাদি সাপেক্ষে দুই মেয়ে শিশুকে হস্তাস্তর করা হয়। লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় রাসেলকে এক নম্বর আসামি করা হয়। এ ছাড়া তিন নারী জঙ্গি এবং রাসেলের বাবাকেও আসামি করা হয়। রাসেলের বিচার শিশু আইনে চলবে বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন। সম্পাদনা: দেলওয়ার হোসাইন