যুদ্ধ রুখতে হলে মার্কিনিদের মুনাফেকি ও মিথ্যাচার বন্ধ করতে হবে : সিরিয়ার দূত জাফারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আমেরিকা ও রাশিয়ার যৌথভাবে বিমান হামলা চালানোর কথা ছিল। কিন্তু এর দুদিন আগে আমেরিকা উল্টো সিরিয়ার সেনা অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। আল-মানার টিভি
এ অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাশার আল-জাফারি।
ভেনিজুয়েলায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বা ন্যামের শীর্ষ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বাশার আল-জাফারি বলেন, ‘মার্কিন এ হামলা প্রমাণ করে আমেরিকা ও তার মিত্ররা উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস এবং অন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করছে এবং এ হামলাকে কোনো প্রযুক্তিগত ভুল বলা যাবে না।’ তিনি বলেন, মার্কিন হামলার পরপরই আইএস সন্ত্রাসীরা স্বল্প সময়ের জন্য সিরিয়ার সেনা অবস্থান দখল করে নিতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়- মার্কিন হামলা ও আইএসের মধ্যে যোগসাজশ ছিল।
এদিকে হামলার পরপরই রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জাফারি বলেন, ‘এ ধরনের বৈঠকে কিছ্ ুহবে না; ফলাফল হবে শূন্য।
কারণ আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স এ ধরনের প্রাণঘাতী হামলা বন্ধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকবে। বরং যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া রুখতে হলে মার্কিনীদের আগ্রাসন, মুনাফেকি ও মিথ্যাচার বন্ধ করতে হবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাশার আল-জাফারি বলেছেন, সিরিয়ার সরকারি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমেরিকা চলমান যুদ্ধবিরতিকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। সিরিয়ার দেইর আজ-জোরে মার্কিন হামলায় ৬২ সেনা নিহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেছেন।
জাফারি বলেন, এ হামলার লক্ষ্য ছিল সম্প্রতি রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ করে দেয়া। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ