জাতি-বর্ণ ব্যবস্থার বিপরীতে ‘দলিত খাদ্য’ বাজারজাত করছেন ভারতীয় উদ্যোক্তারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েক দশক আগেই দলিতদের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতো এমন কিছু খাদ্য ও শস্য প্যাকেট করে বাজারজাত করছেন এক ভারতীয় উদ্যোক্তা। শুধু ব্যবসাই নয়, ভারতীয় সমাজে প্রচলিত বর্ণপ্রথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাও তার উদ্দেশ্য। কেননা সেই উদ্যোক্তা নিজেও দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। রয়টার্স
চন্দ্র ভান প্রসাদ নামের ৫৮ বছর বয়সী ওই উদ্যোক্তা জানান, তিনি জন্মেছেন উত্তর ভারতের এমন এক সম্প্রদায়ে যারা শূকর পালণ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।সম্প্রতি চন্দ্র ভান ও তার স্ত্রী মিলে দিল্লীতে অনলাইনে ‘দলিত খাদ্য’ বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অস্পৃশ্য হয়ে জন্মেছি, কিন্তু আমার সব রকম খাদ্য বিক্রি করার অধিকার আছে।আমি সমাজচ্যুত এবং অস্পৃশ্য জীবন যাপন করেছি। কিন্তু ভারত এখন আগের মতো নেই। অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, ভারতে বর্ণ ভিত্তিক বৈষম্য ১৯৫৫ সালেই আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু উচ্চবর্ণের অনেক মানুষের মনেই প্রাচীন ধ্যানধারণা এখনও রয়ে গেছে।তাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন নিম্নবর্ণের হিন্দুদের রান্না করা বা বেড়ে দেওয়া খাদ্য অপবিত্র। এই রীতির বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন চন্দ্র ভান প্রসাদ। প্রসাদের ‘দলিত খাদ্য’ তালিকায় রয়েছে নানা রকম শস্য, মরিচের গুড়ো, হলিদের গুড়ো, আমের আচার, আটা, মুসুর ডাল ইত্যাদি। চন্দ্র ভান প্রসাদ জানান, তিনি দরিদ্র ও ভূমিহীন কৃষকদের অধিকার আদায়ে ভারতের মাওবাদীদের দলের সঙ্গে তিন বছর যুদ্ধ করেছেন। এবার তিনি দলিত প্রচারণায় নামতে চান। তিনি আরও জানান, তার পরিবারের তিন সদস্য ক্যান্সারে মারা গেলে তিনি খাদ্য নিয়ে সচেতœ হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল আমাদের দেশের একটি বড় সমস্যা। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ