ব্রেক্সিট : ব্যবসায়ীদের আস্থা সর্বনিম্নে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রেক্সিট পরবর্তী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ বাড়ছেই ব্রিটেনে। এর ফলে চার বছরের মধ্যে ব্যবসায়ীদের আস্থা সর্বনিম্নে এসে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের যে গণভোট ব্রেক্সিট অনুষ্ঠিত হয় তা বাস্তবায়ন নিয়ে চলছে ধীরগতি। এ জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে অনেক রাজনৈতিক বোদ্ধা সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমন খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ব্যবসায়িক বিক্রি, কার্যাদেশ ও মুনাফা বৃদ্ধির যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল তার পতন ঘটেছে শতকরা ১২ ভাগ। জানুয়ারির তুলনায় এর পতন ঘটেছে শতকরা ৩৮ ভাগ। লয়েডস ব্যাঙ্কস বিজনেস ইন ব্রিটেন-এর এক রিপোর্টে এমনটা বলা হয়েছে। ব্যবসায়িক খাতে কেন এই পতন? এমন প্রশ্নের জবাবে শতকরা ১৮ ভাগ মানুষ বলেছেন চাহিদার পতন ঘটেছে। এটাই ব্যবসা খাতে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। সব খাতেই চাহিদা, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ দুর্বল হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে বড় ধরনের আস্থার সঙ্কট। খুচরা বিক্রি ও পাইকারি বিক্রি সহ ব্যবসা ও অন্যান্য সেবাখাতে আস্থার পতন ঘটেছে গড়ে শতকরা ৩০ ভাগ। লয়েডসের মিড মার্কেটস এবং এসএমই ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিম হিন্টন বলেছেন, জানুয়ারি থেকে আস্থার এই যে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে তাকে দেখতে হবে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক হতাশার দিক থেকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনের ভবিষ্যত সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে এক ধরণের অনিশ্চয়তা তো রয়েছেই। এ ধারা ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু সময় থাকবে। লয়েডস ব্যাঙ্কস বিজনেস ইন ব্রিটেন এর রিপোর্টে প্রায় ১৫০০ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি একত্রিত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মোট রপ্তানি বাণিজ্য শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ পড়ে যাচ্ছে। ব্রেক্সিট ভোটের পর বৃটিশ পাউন্ডের দাম ৩১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে চলে এসেছে। এর অলে বৈশ্বিক বাজারে বৃটিশ পণ্য আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ