হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ খতিয়ে দেখছে মেঘনা এভিয়েশনও
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ার রেজু খালে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার মূল কারণ হিসেবে সেলফি তোলাকে দায়ী করা হলেও সিভিল এভিয়েশন থেকে বলা হচ্ছে এখনও ঘটনাটি তারা তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তারা জানান, সম্পূর্ণ তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই এ বিষয়ে কথা বলবেন। এদিকে মেঘনা এভিয়েশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এই হেলিকপ্টারটি প্রতিনিয়ত যাত্রী বহন করে। তবে শুক্রবারের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। এখনও আমরা বলতে পারছি না, ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ২০১৫ সালে আমেরিকা থেকে হেলিকপ্টারটি আনা হয়েছে।
দরজা খুলে সেলফি তুলতে ও ভিডিও করতে গিয়েই হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে পাইলটের বরাত দিয়ে জানিয়েছিলেন কক্সবাজারের উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের।
হেলিকপ্টারটির চিফ পাইলট উইং কমান্ডার শফিকুল ইসলামের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি অসুস্থ থাকায় কথা বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন মেঘনা এভিয়েশনের কর্মকর্তা (একাউন্ট কাস্টমার সার্ভিস) মনজুল আলম।
শনিবার সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে তিন কর্মকর্তা মেঘনা এভিয়েশনে যান এবং সেখানে তারা চিফ পাইলট উইং কমান্ডার শফিকুল ইসলাম এবং মেঘনা এভিয়েশনের ফ্লাইট অপারেশন অফিসার সাইফুল ইসলামের সঙ্গে পৃথকভাবে তদন্ত কমিটির প্রধানসহ গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাফর আহমেদ এবং সিভিল এভিয়েশনের সহকারী পরিচালক আতাউল্লাহ হাশমী দেখা করে এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান।
সিভিল এভিয়েশনের সহকারী পরিচালক আতাউল্লাহ হাশমী বলেন, ‘হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে, তারা এখনও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেয়নি। প্রতিবেদন না পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা বলতে পারবো না কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ সম্পাদনা : সুমন ইসলাম