গুরুত্ব দিতে হবে চুরি যাতে আর না হয় : আবু আহমেদ দেশের চোরদের বিচার হবে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী
হাসান আরিফ : ফিলিপাইনের আদালত দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাংলাদেশের অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশকে স্বাগতম জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান বলেছেন, টাকা ফেরত এলেও দেশি চোরদের বিচারের আওতায় আসতে হবে। আর অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেছেন, আর যাতে চুরি না হয় সেদিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ চুরির মতো বিরল ঘটনা আর না ঘটে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান বলেছেন, ফিলিপাইনের আদালত বাংলাদেশের অর্থ ফেরত দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। এ আদেশের ফলে অর্থ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এখন টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কাজ করবেন। এর মাধ্যমে ফিলিপাইন বাংলাদেশের প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছে তাতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
তিনি বলেন, টাকা ফেরত এলেই চোররা বেঁচে গেলেন বিষয়টা তা না। দেশি চোরদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। তাদের আইনের আওতায় আসতেই হবে।
আবদুল মান্নান বলেন, যে অর্থ তৃতীয় হাতে চলে গেছে তা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি সহজ না। এ বিষয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। তাদের উপর আন্তর্জাতিক চাপ দিতে হবে। কারণ মাফিয়ারা সব দেশে সব অবস্থানেই শক্তিশালী হয়ে থাকে। তা হোক দেশি বা আন্তর্জাতিক।
অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। এ অর্থের ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকে ফেরত পাওয়ার জন্য ফিলিপাইনের আদালত বাংলাদেশের পক্ষে যে রায় দিয়েছে তা ইতিবাচক। আর এ অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে তা আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে অর্থ তৃতীয় ব্যক্তির হাতে চলে গেছে তা ফেরত আনতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে টাকা আদৌ পাওয়া যাবে কি? এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। আবু আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আর কোনো চুরির ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং চুরি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, চুরি হওয়া এ অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের জুপিটার শাখার কয়েকটি হিসাব থেকে চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোতে। ফিলিপাইনের বিভিন্ন সংস্থা চুরি যাওয়া অর্থের কিছু অংশ নানাভাবে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া সেই অর্থ ফেরত পেতে ফিলিপাইনের আদালতে বাংলাদেশ আবেদন করে। বাংলাদেশের হয়ে আবেদনটি করে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি)। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন