গুলেনের মতো সন্ত্রাসীকে রাখা উচিত নয় যুক্তরাষ্ট্রের: এরদোগান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের মতো ‘সন্ত্রাসীকে’ যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় দেওয়া ঠিক নয় এবং বিশ্বব্যাপী তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোগান। বিডিনিউজ
সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকা গুলেন ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বসবাস করছেন। জুলাইয়ে তুরস্কের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে গুলেনকে অভিযুক্ত করছে আঙ্কারা।
কিন্তু অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে এরদোগান সরকার। জবাবে ওয়াশিংটন বলেছে, অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ দেখাতে পারলেই কেবল গুলেনকে ফেরত পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ অবস্থানে হতাশ তুর্কি সরকার। সাক্ষাৎকারে এরদোগান দাবি করেন, গুলেনকে রেখে দেওয়ার মতো ‘কোনো অজুহাত’ ওয়াশিংটনের কাছে নেই। গুলেন এক সময় এরদোয়ানের রাজনৈতিক মিত্র ছিলেন। তুর্কি কর্মকর্তাদের দাবি, গুলেন তুরস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য কয়েক দশক ধরে তুর্কি সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যে অনুসারীদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। এরদোগান বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কৌশলগত মিত্র ও নেটো অংশীদার হয়ে থাকে, তাহলে গুলেনের মতো একজন সন্ত্রাসীকে তার সংস্থা চালাতে দেওয়া তাদের উচিত নয়।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে তুরস্কে জারিকৃত তিনমাসের জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে। জুলাইতে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল তুর্কি সরকার। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ