সম্রাট অশোকের জন্ম-মৃত্যুর তারিখ জানতে ভারতের ৪টি মন্ত্রণালয়ে নির্দেশ
প্রিয়াংকা আচার্য্য : এককালে দুর্দ- প্রতাপ নিয়ে শাসন করেছেন ভারতবর্ষ। কলিঙ্গের যুদ্ধে স্বজনদের রক্ত গঙ্গায় ভাসিয়ে মহাভারতের অর্জুনের মতো বধিপ্রাপ্ত হয়ে পরবর্তীতে ব্রতী হন মানুষকে ভালবাসায়। অহিংসা নীতিতে গড়ে তোলেন বিরাট সাম্রাজ্য। পরাক্রমশীল, দয়ালু ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক হলেন সম্রাট অশোক।
আজও ভারতবাসীর মনে তিনি গ্রথিত আছেন গুরুত্বের সাথে। আর তাই তো সম্রাট অশোকের জন্ম-মৃত্যুর তারিখ জানতে এবার উঠেপড়ে লেগেছে ভারতের ৪টি মন্ত্রণালয়। আর এ দুঃসাধ্য তথ্য বের করার ভার অর্পণ করেছে ভারত সরকারের তথ্য কমিশন। মুখ্য তথ্য কমিশনার আর কে মাথুর এ আদেশ জারি করেছেন বলে সোমবার জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
অরুণ কুমার নামে এক ব্যক্তি আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরে। তিনি জানতে চেয়েছিলেন সম্রাট অশোকের জন্ম এবং মৃত্যুর তারিখটি। সেই সঙ্গে তার জিজ্ঞাস্য ছিল, ধর্মাশোকের জন্ম, মৃত্যু জয়ন্তী কোথাও পালিত হয় কি না!
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে অতঃপর এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় তথ্য কমিশনের কাছে। কিন্তু তথ্য কমিশনও এ ব্যাপারে আলোকপাত করতে ব্যর্থ হয়। তাই মুখ্য তথ্য কমিশনার রাহুল মাথুর এ কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে।
অশোক সম্বন্ধে জানার উৎস প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য এবং পুরাতত্ত্ব। পালি ভাষায় লেখা সিংহলী ইতিবৃত্ত থেকে জানা যায় অশোকের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৩০৪ এবং মৃত্যু ২৩২ অব্দে। পিতার নাম বিন্দুসার। পিতামহ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ছিলেন মৌর্যবংশের প্রতিষ্ঠাতা ।
পশ্চিমে আফগানিস্তান; পূর্বে বাংলাদেশ; উত্তরে আসাম; দক্ষিণে কেরালা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ছিল অশোকের বিশাল সাম্রাজ্যের সীমানা। এর মধ্যে অনেক রাজ্য ছিল। তবে সবচে শক্তিশালী রাজ্য ছিল মগধ। মগধের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র (বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্য )। অশোকের রাজপ্রাসাদটি পাটলিপুত্র নগরীতে অবস্থিত ছিল। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম