জয়ের কাছে কম্পিউটার চালানো শিখেছি : শেখ হাসিনা আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জয়
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: সজিব ওয়াজেদ জয়ের পুরস্কার লাভে মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভীষণ আনন্দিত। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ছেলের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বন্দী ও দুঃসহ সময়ে জয়ের জন্ম। আত্মীয়স্বজন কেউ পাশে ছিল না। আবার ১/১১-এর সময় জয় যখন আইটির উপরে হার্ভার্ডে পড়ছিলেন তখন কেয়ারটেকার সরকার আমাকে বন্দী করে রেখেছিল। তিনি বলেন, জয় আমার কম্পিউটার শিক্ষক। তার কাছ থেকে আমি কম্পিউটার চালানো শিখেছি। অন্যদিকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে জয়ের অনেক অবদান রয়েছে। যে কারণে আমি তার মা হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে করি, গর্ববোধ করছি। শেখ হাসিনার এমন আবেগপূর্ণ বক্তব্যে সবাই আপ্লুত হয়ে পড়েন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচির মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তান ও তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর (নিউইয়র্ক সময়) সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সামনে ইউএন প্লাজা হোটেল মিলনায়তনে আনন্দঘন পরিবেশে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস, প্ল্যান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট এবং কানেকটিকাট স্টেটের নিউ হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস সম্মিলিতভাবে জয়কে এ পুরস্কার প্রদান করে। তুমুল করতালির মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে এটি তুলে দেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক রবার্ট ডেভি। পুরস্কারটি তুলে দেওয়ার আগে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউইয়র্ক থেকে এনা জানায়, শেখ হাসিনা আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আগ্রহ এবং শক্তি জোগাবে। এ পুরস্কার জয়ের কঠোর কর্মস্পৃহার ফসল।
অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমার মা তার কষ্টের কাহিনী বললেন, আমার জন্মের সময়ে অসহনীয় দুর্ভোগ ও দুর্দশনার কথা বললেন। আমি সত্যিই আমার মার কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এ পুরস্কার পেয়ে আমি গৌরব ও গর্ববোধ করছি। এ কৃতিত্ব শুধু আমার একার না সরকারের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর। সবার প্রচেষ্টাতেই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন, স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৭ সালে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ইয়াং গ্লোবাল লিডার নির্বাচন করেছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।