বিএনপি নির্বাচনে গেলে প্রমাণ হবে কার জনপ্রিয়তা আছে কি নেই : আশরাফ
রফিক আহমেদ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশ নিক- সেখানেই প্রমাণ হবে কার জনপ্রিয়তা আছে কি নেই।
গতকাল মঙ্গলবার ‘শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় আওয়ামী লীগ শূন্যতা অনুভব করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে’ তিনি এ কথা বলেন।
দলটির সম্পাদকম-লীর সভা শেষে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফেরার দিন ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। ওই দিন বিকাল চারটায় বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানাবেন। এ সংবর্ধনা নিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যাপক আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিশাল শোভাযাত্রা হবে।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি যে রাজনৈতিক কৌশল নিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অংশ নয়। ষড়যন্ত্র করা, কুটচাল করা, জঙ্গিদের লেলিয়ে দেওয়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অংশ নয়।
‘জঙ্গি নির্মূলের নামে সরকার বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে’ বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আশরাফ বলেন, যাদের হয়রানি করা হচ্ছে, তারা জঙ্গি। বিএনপিতে দু-চারজন জঙ্গি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতেই পারে। বাংলাদেশ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি কেউই রেহাই পাবে না। সুতরাং, সবাইকে জঙ্গি দমনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করে।
এদিকে কানাডায় থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, নূর চৌধুরীকে কীভাবে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা যায় এবং তার রায় কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কানাডার একটি সমস্যা হচ্ছে, যে দেশে মৃত্যুদ- কার্যকর আছে, সেখানে কানাডা আসামিকে ফেরত পাঠায় না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
সম্পাদকম-লীর সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি-বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, আইন-বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, সমাজকল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কার্যনির্বাহী সদস্য এনামুল হক শামীম ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। সম্পাদনা: আনিসুর রহমান তপন