যোগ্যতার পুরস্কার পেয়েছেন জুনায়েদ কামাল আহমাদ
কাজী সিরাজ
ভারতের মতো বিশাল রাষ্ট্রে, যেখানে প্রায় ১৩০ কোটি মানুষের বসবাস সেখানে একজন বাংলাদেশি জুনায়েদ কামাল আহমাদ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পাওয়াটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের অর্জন ও গৌরব। এই অর্জন সম্পূর্ণ তার নিজের কৃতিত্ব। কারণ সব বাংলাদেশি বা ভারতীয়রা এ রকম দায়িত্ব পান না। এ দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন তার যোগ্যতা ও মেধায়। মেধা ও যোগ্যতার পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। যোগ্যতা ও মেধা বলেই আজকের তিনি আজকের এই অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছেন। আমাদের গর্ব হচ্ছে এই ভেবে, এখন বাংলাদেশেও এ রকম অনেক উজ্জ্বল মেধাবী মানুষ রয়েছেন।
তার এ দায়িত্বে স্বাধীন বাংলাদেশকে গর্বিত করার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র বাঙালি জাতিকেও তিনি গর্বিত করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো, স্বাধীনচেতা জাতি হিসেবে আমাদের মন এবং মানসিকতা গঠিত না হতো, তাহলে আমরা এ ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও মোকাবেলার মাধ্যমে সফল হতে পারতাম না। তার এ দায়িত্ব প্রাপ্তি স্বাধীনতারই ফসল এবং বাংলাদেশের অহংকার।
জুনায়েদ কামাল আহমাদ এর এই দায়িত্ব প্রাপ্তি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে অর্থনৈতিক বৈষম্য রয়েছে, তার নিরসন হবে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে লড়াই করার মতো এর আগে কেউ ছিল না। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে যে ইতিবাচক অনেক জিনিস আছে, তা নিয়েও লড়াই করার কেউ ছিল না। অনেক সময় বাস্তবধর্মী যৌক্তিক কথা বলারও তেমন কোনো লোক ছিল না। এখন আমাদের পক্ষে কোনো বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকে মুভ করার, সত্য কথা বলার মতো, যৌক্তিক কথা বলার মতো একজন মেধাবী প্রতিনিধি পাওয়া গেল, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের অর্থনীতির পক্ষে বিশ্বব্যাংকের করণীয় কোনো কাজ থাকলে সেটা জুনায়েদ কামাল আহমাদ করতে পারবেন। যদি কেউ বা কোনো দেশ আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করতে প্রচেষ্টা চালায় বা চালাতে চায় তবে সে ব্যাপারে তিনি বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন এবং আমরা আশা করি, তিনি তা করবেনও।
পরিচিতি: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা: আশিক রহমান