কামরুল ইসলাম বাবু, রাউজান (চট্টগ্রাম) : আগামী ৭ অক্টোবর ষষ্ঠি পূজার মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার শুরু হচ্ছে। এই এই পূজার প্রধান উপকরণ প্রতিমা তৈরিতে নিয়োজিত কারিগররা এখন নির্ঘুম রাত জেগে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য যথাসময়ে ম-পগুলোতে প্রতিমা সরবরাহ করা। রাউজানের প্রতিমা তৈরির প্রধান কারখানাটি রয়েছে দক্ষিণ রাউজানের নোয়াপাড়া পল্লী মঙ্গল সমিতির কাছে। এই কারখানার প্রধান কারিগর অনিল পাল তার দুই পুত্র কমল ও অমলকে নিয়ে দিন এখন রাত কাজ করছেন প্রতিমার গায়ে রং তুলিতে সাজসজ্জা দেয়ার। এখানে বিগত নয় বছর থেকে প্রতিমা তৈরীর কাজে নিয়োজিত অনিল পাল জানিয়েছেন এবার তিনি ১৮টি ম-পে প্রতিমা দেয়ার অডার পেয়েছেন। আকৃতি ও সাজসজ্জার প্রকার ভেদে প্রতিমা সরবরাহ করা হবে আট থেকে ১৮ হাজার টাকা চুক্তিতে। রাউজান কেন্দ্রীয় পূজা কমিটি সভাপতি চিকদাইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পিয়োতোষ চৌধুরী বলেছেন এবার রাউজানে ২১৮টি ম-পে পূজার প্রস্তুতি রয়েছে। তার মতে শারদীয় দুর্গোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা হলেও রাউজানে এই পূজায় স্বঃতস্ফুত অংশগ্রহণ থাকে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলেই। এখানকার সকল ধর্মের মানুষ অসম্প্রদায়িক চেতনায় এই উৎসবে শামিল হয়।
দক্ষিণ রাউজান পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ম্যালকম চক্রবর্তী বলেছেন এই অঞ্চলে পূজা হবে ১১৮টি ম-পে। প্রতিটি পূজা ম-প প্রতিযোগিতামূলক ভাবে সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। পূজা কমিটির এই নেতা বলেন দক্ষিণ রাউজানে পূজাপূর্ব এক সম্মেলন ৩০ সেপ্টেম্বর আয়োজন করা হচ্ছে। এই সম্মেলনে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শ্যামল দত্ত, আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন পূজাকালীন সময় এলাকার সার্বিক আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্র্ণ রাখতে বিশেষ চক তৈরী করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। সম্পাদনা : তারেক