এশিয়া থেকে অধিকাংশ ইমিগ্রান্ট নেবে কানাডা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরো ইমিগ্রেন্ট নেবে কানাডা এবং তার অধিকাংশই নেয়া হবে এশিয়া থেকে। দেশটির ইমিগ্রেশন, রিফিউজি ও সিটিজেনশীপ মন্ত্রী জন ম্যাককুলাম এ কথা জানান। তিনি বলেন, এশিয়ানদের জন্য কানাডা যাওয়া এখন উপযুক্ত সময়। কারণ কানাডায় তাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বিশেষভাবে চায়নিজ ও ফিলিপিনোদের প্রতি বেশী আগ্রহ দেখান। তবে তার আগে বিষয়টি নিয়ে তাকে মন্ত্রী সভায় আলোচনা করতে হবে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি চীন ও ফিলিপাইন সফরকালে তিনি এ কথা বলেন। সিবিসি
কানাডায় একদিকে শ্রমিক স্বল্পতা এবং অন্যদিকে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কানাডা নতুন ইমিগ্রেন্টদের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবছে। বর্তমান সরকার ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ইমিগ্রেন্টকে কানাডায় স্বাগত জানানোর চেষ্টা করছে, যা হবে সাম্প্রতিককালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পূর্ববর্তী সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে আড়াই লাখের কিছু বেশি ইমিগ্রেন্ট নেওয়ার কথা বিবেচনা করছিল। মন্ত্রী জন ম্যাককুলাম ফিলিপাইন সফরকালে দেশটির রাজধানী ম্যানিলায় এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান কালে অঙ্গীকার করেন স্পাউস, পার্টনার ও সন্তানদের স্পন্সর করার প্রসেসিং টাইম আরো কমিয়ে আনা হবে। তিনি স্বীকার করেন বর্তমানের প্রসেসিং টাইম (প্রায় দুই বছর) বেশ দীর্ঘ। তিনি আরো বলেন, এক্সপ্রেস এন্ট্রি সিস্টেমের মাধ্যমে অভিজ্ঞ প্রফেশনালস, স্কিল্ড ওয়ার্কার এবং স্টুডেন্ট আনার প্রক্রিয়া ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ‘লেবার মার্কেট ইম্পেক্ট এসেসমেন্ট’ প্রথা বাতিল করায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া অনেকটা সহজ হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় ইমগ্রেশনের জন্য একজন আবেদনকারীকে কোন নির্দিষ্ট জব অফার দেয়ার আগে একজনকে প্রমাণ করতে হতো যে কোন কানাডিয়ান নাগরিক ঐ কাজ করতে অপরাগ। এই প্রক্রিয়া বাতিল করায় এখন অনেক আবেদনকারীর পক্ষেই কানাডায় আসা সহজ হয়েছে।
কানাডায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় আরেকটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদেরকে অধিক পয়েন্ট প্রদান করার মধ্য দিয়ে। এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা খুব ভাল নাগরিক হবে ভবিষ্যতে। মন্ত্রী আরো জানান, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জন্য অচিরেই আরো কিছু বিধিনিষেধ বাতিল করা হবে যাতে তারা এক্সপ্রেস এন্ট্রি সিস্টেমের মাধ্যমে আরো বেশী সংখ্যায় কানাডায় আসতে পারেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ