শাহজালালে আমদানি নিষিদ্ধ অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ
সুজন কৈরী : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমদানি নিষিদ্ধ একটি অত্যাধুনিক ড্রোন জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। শারজাহ থেকে আগত যাত্রী জাহিদুল ইসলামের ব্যাগ থেকে ওই ড্রোনটি জব্দ করা হয় বলে গতকাল বুধবার সংস্থটির মহাপরিচালক ড. মইনুল খান নিশ্চিত করেছেন।
মঈনুল জানান, গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় শারজা থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে (নম্বর-এ৯০৫১৫) শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জাহিদুল ইসলাম। তবে তার পাসপোর্টে নজরুল ইসলাম নাম নথিভুক্ত রয়েছে। তার পাসপোর্ট নম্বর বিএ ০২৩০০৮৪। বাড়ি কুষ্টিয়ার ভুকাপাড়া গ্রামে।
তিনি বলেন, জব্দকৃত ডিজেআই ফ্যানটম ৪ মডেলের ড্রোনটি ভিডিও শুটিংয়ের পাশাপাশি গোয়েন্দাগিরির কাজে ব্যবহার করা যায়। রয়েছে উন্নতমানের ক্যামেরা ও সেন্সর। রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এটি পরিচালনা করা হয়। লিটারেচার পর্যালোচনায় দেখা যায় এসব ড্রোন প্রায় ১ কেজি ওজনের ভার বহনে সক্ষম। প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। এটির অপব্যবহারের ঝুঁকি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ কর্মকর্তা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই যাত্রীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। বিমান থেকে নামার পর গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় তাকে থামানো হয়। তবে এসময় তিনি ড্রোন থাকার কথা অস্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তল্লাশি চালিয়ে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল জানিয়েছেন, দুবাই থেকে তার এক বন্ধু ঢাকায় কোনো এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এসব গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি দিয়েছেন। তিনি নিজে এর মালিক নন। আটককৃত সামগ্রীর আনুমানিক ওজন প্রায় ১৪ কেজি। এর বিভিন্ন অংশ খুলে প্যাকেজিং করা হয়েছে। ড. মঈনুল আরও বলেন, এর আগে শাহজালাল থেকে আটককৃত ড্রোন থেকে এটি আরও উন্নতমানের। ড্রোন নানা ধরনের নাশকতার কাজে ব্যবহার হতে পারে এ আশঙ্কায় সম্প্রতি বাংলাদেশে এর ওপর আমদানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া ড্রোন আমদানি করা যায় না এবং এর উড্ডয়নের প্রাক্কালে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। আটক ড্রোনের বিষয়ে শুল্ক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ জুলাই শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে একটি ড্রোন জব্দ করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। ওই ড্রোনটি খেলনা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল। পরে ড্রোনটি কাস্টম হাউসে জমা দেওয়া হয়। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম