বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমনে বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
সুজন কৈরী: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আমরা অল্প সময়ের মধ্যে জঙ্গি দমনে যে সাফল্য দেখিয়েছি তা অনেক উন্নত দেশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর প্রশিক্ষিত ফোর্স দিয়েও পারেনি। এজন্য বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ পুলিশ প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং আমাদের সাফল্য সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ও পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারপর অপারেশনে যেতে হবে। রাজধানীতে কোথাও জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাতে হলে সংশ্লিষ্ট থানাকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে অবশ্যই জানাতে হবে। আবার সিটিটিসির অধীন সোয়াত সদস্যরা যদি কোথাও অভিযানে যান তবে তাদেরকেও সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি আগেভাগেই অবহিত করতে হবে। পুরো কাজটিই করতে হবে পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে। আর জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরুর আগে প্রতিটি টিমকে নিতে হবে পুরোদস্তুর প্রস্তুতি।
এ সময় সভায় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশি সেবার প্রধান ইউনিট হলো থানা। কাজেই থানায় সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। থানার সেবার মান বৃদ্ধি করা না গেলে সব সাফল্যই ম্লান হয়ে যাবে। স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি উপস্থিত সকলকে থানায় এসে যেন কেউ হয়রানি ও জুলুমের শিকার না হয় সে বিষয়টি কঠোরভাবে দেখভাল করার আহ্বান জানান।
ইতোমধ্যে থানায় সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, সাধারণ জনগণ এখন থানায় গিয়ে চমৎকার সেবা পাচ্ছেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে হবে। থানায় সেবার মান বৃদ্ধির জন্য আমরা মহানগরীর ৪৯টি থানায় ইতোমধ্যে অটো কার্বনসংবলিত জিডি বই ছাড়াও ফটোকপিয়ার মেশিনও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সভা শুরুর আগে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ হওয়া পুলিশ অফিসারদের আর্থিক পুরস্কারে পুরস্কৃত করেন এবং তাদের আরও ভালো কাজ করার আহ্বান জানান। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন